গত ২৩ মে মহিলা আওয়ামী লীগ কানাডার ভার্চুয়াল ‘ঈদ পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা আক্তার জানু উপস্থিত সম্মানিত অতিথি,শিল্পী,আবৃত্তিকার ও কলা কুশলীকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। তিনি মে মাসে বাংলা ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরী শান্তি পুরস্কার” অর্জন নিয়ে আলোচনা ও সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এরপর বক্তব্য রাখেন ড:আব্দুল আউয়াল, সাবেক ভিসি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।
আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী নেতা আব্দুস সালাম, ইমাম হোসেন, রীনা বেগম ও মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভানেত্রী আজিমুননেছা। উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাদের মিলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, অন্টারিও আওয়ামী লীগ। প্রথমেই মৌসুমির কন্ঠে ঈদের গান “রমজানের ও রোজার শেষে, এলো খুশির ঈদ” গানটি পরিবেশিত হয় । এছাড়া তিনি ৮টি ভাষায় রবীন্দ্র সঙ্গীত “আমি চিনিগো চিনি তোমাকে ওগো বিদেশীনি” গানটি গেয়ে শোনান । তার পরই হিমাদ্রী রায় আবৃত্তি করেন। কলকাতার কবি সিরাজুল ইসলামের ঈদের কবিতা-রবীন্দ্র নাথের নীর্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ, কাজী নজরুলের পরিচয় -এই কবিতা গুলো পাঠ করেন । অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু উপরে একটি কবিতা, টোকন ঠাকুরের লেখা ” মহাকাব্যের ট্রাজেডি ” কবিতাটি পাঠ করেন সোহানা আমিন । বাংলাদেশ থেকে
শিল্পী তারেক সাইদ তালাত মাহমুদের বিখ্যাত গান “তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে” ও “সুন্দরী গো দোহাই দোহাই মান কোরোনা” পরিবেশন করেন। মঞ্জু সাহা পরিবেশন করেন “তুমি যে সাজালে সোনার বাংলা ভালবাসার অলংকারে” এবং ফরিদা পারভীনের বিখ্যাত গান “তোমরা ভুলে গেছ মল্লিকাদির নাম” ।আমেরিকা থেকে রেহানা রহমান পরিবেশন করেন ছিল আধুনিক গান -“যে ছিল দৃষ্টির সীমানায় ” ও “ফুলের কানে ভ্রমর এসে চুপি চুপি বোলে যায়”।
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মিজানুর রহমান তসলিমের কন্ঠে -“ও আমার দেশের মাটি” এবং “আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়েছিলে দেখতে আমি পাইনি” পরিবেশন করেন। টরন্টোর শিল্পী বিপ্লব কর্মকার পরিবেশন করেন “তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল” ও “বাঁশী শুনে আর কাজ নাই”। ইভা নাগ পরিবেশন করেন “আমারও পরানো যাহা চায়” ও “ওই ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায়” গানটি । ফারহানা শান্তা-“তুমি একটু কেবল বসতে দিও কাছে” এবং “মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো” পরিবেশন করেন। মৌসুমির একটি দ্বীজেন্দ্র গীতি দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি জুমে পরিচালনা করেন সোহানা আমিন । উপস্থাপনায় ছিলেন ফারহানা পল্লব।