3.4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

‘জন্মের আগেই’ নিজের নামে জাল দলিল আওয়ামী লীগ নেতার

‘জন্মের আগেই’ নিজের নামে জাল দলিল আওয়ামী লীগ নেতার

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে একাধিক অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দামপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী আকবরের বিরুদ্ধে। পূর্ব পুরুষের দখলের জমি দলীয় ক্ষমতার দাপটে জবর-দখল করেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।

- Advertisement -

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সামাজিকভাবে কোথাও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। তার ভয়েও কেউ মুখ খুলতে চান না। এদিকে ওই সভাপতি তার জন্মের আগেই নিজ নামে জমি রেজিস্ট্রির দলিল দেখিয়ে জায়গা দখল করেন।

মো.আলী আকবরের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৬৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। অথচ তার নিজ নামে ৫ শতাংশ জমির সাফ কবলা দলিলে দেওয়া আছে জন্ম ১৯৬৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।

জানা যায়, নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের বাসিন্দার দরিদ্র ও অসহায় রইছ উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলামের ৮ শতাংশ, হাসান আলীর ছেলে নূরুল ইসলামের ২০ শতাংশ ও একই গ্রামের মাছু শেখের ছেলে মো. সেলিমের ৫ শতাংশ জমি জবর-দখল করে নেন আলী আকবর। এলাকায় বিচার চাইলেও ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ সালিস করতে ভয় পান। এখন তাদের জমি উদ্ধারের জন্য তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

ভুক্তভোগী রইছ উদ্দিনের ছেলে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘দাদার আমল থেকে দামপাড়ার মৌজার ১৪৮৬ দাগের ৮ শতাংশ জমি সাফ কবলায় আমরা ভোগ করছি। বাবা মারা যাওয়ার পর হঠাৎ মো. আলী আকবর তার দল-বল নিয়ে অবৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে দখল করে নেয়। ভূমি অফিসে তল্লালি করলে জাল প্রমাণ মেলে। তারপরও ক্ষমতার দাপটে জমি দখল ছাড়েন না। অফিস আদালত যেন তার সবই কেনা। এখন কোথায় এর বিচার পাব?।’

একই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘দামপাড়া মৌজার ১০৭৮ দাগে আমার জায়গার সাথে মো. আলী আকবর ৫ শতাংশ জায়গা কিনে আমার ২০ শতাংশ জমি তিনি জোর দখল করে নেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দামপাড়া ইউনিয়নের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মো. আলী আকবরের বিরুদ্ধে এমন শতাধিক অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। তারা জানান, গত এক দশকে এলাকায় বহু অসহায় মানুষের ফসলি জমি ভূয়া দলিলে জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দামপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আলী আকবর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ‘কাগজপত্র সঠিক হওয়ায় আমি জমি কিনেছি। বরং তারা মিথ্যা দলিল তৈরি করে আমার মানহানি করছে।’ এ ছাড়া সাংবাদিকদের অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি নন বলে জানান তিনি।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles