এক ব্রাজিলিয়ান নয় নারীকে বিয়ে করেছিলেন। সম্প্রতি এক স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে। এর আগে মডেল আর্থার ও উরসো এবং তার প্রথম স্ত্রী লুয়ানা কাযাকি সাও পাওলোর একটি ক্যাথলিক চার্চে আরও আট নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আঘাথা নামের এক স্ত্রী দলছুট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাজ্যের মিরর পত্রিকাকে আর্থার জানান, ‘সবকিছুই ঠিকঠাক যাচ্ছিল। এর মধ্যে একদিন আমার স্ত্রীদের একজন আমার কাছে কথা বলতে আসে এবং আমরা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে আসি।’
তিনি বলেন, ‘সে আমাকে তার একান্ত নিজের করে নিতে চেয়েছে। কিন্তু এর কোনো অর্থ হয় না। আমাদের ভাগাভাগি করা শিখতে হবে। আমি তার সঙ্গে বিচ্ছেদে খুবই মর্মাহত। আরও বেশি যেটা কষ্ট দিয়েছে তা হলো, সে একটি একক সম্পর্কের অভাববোধ করছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার অন্য স্ত্রীদের ধারণা, সে ভুল কাজ করেছে। কারণ, শুরুতে এটা মেনেই বিয়ে করেছিল যে এখানে সে সত্যিকারের অনুভূতির জন্য নয়; বরং জীবনকে ভোগ করবে বলেছিল। নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছে।’
নয় স্ত্রী নিয়ে খুব একটা সুখে নেই আর্থার। মিররকে তিনি বলেন, ‘যখন কাউকে আমি দামি উপহার দিই আর কাউকে তুলনামূলক কমদামি উপহার দিতে হয়, তখন তাদের ভেতর এটা নিয়ে হিংসার সৃষ্টি হয়। আমি এখনো সম্পর্কের খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো শিখছি।’
নয় স্ত্রীকে শিডিউল করে সময় দেয়ার কথা বলে এর আগে আর্থার অনলাইন জগতে বড় সড় ঢেউয়ের সৃষ্টি করেন। তবে এখন তার বক্তব্য পাল্টেছে। প্রথমে শিডিউল মেনে স্ত্রীদের সময় দিলেও কিছু সময় পর আর্থার বুঝেছেন, সবকিছু প্রাকৃতিকভাবে হওয়াই ভালো। তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনার এতজন স্ত্রী আছে, তখন ভালোবাসা পেতে সময় লাগে না।’
সন্তানাদির ব্যাপারে আর্থার বলেন, ‘সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, আমার যে স্ত্রীর সঙ্গেই সন্তান জন্ম নিক না কেন, শিশুটিকে সবার পক্ষ থেকে ভালোবাসা দিয়েই বড় করে তোলা হবে। তবে আমার এর জন্য আলাদা করে কোনো প্রিয় স্ত্রী নেই। আমরা প্রাকৃতিকভাবেই এটা হতে দিতে চাই।’
তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ঢুকলে ৯ স্ত্রীকে নিয়ে আয়েশি জীবনের দেখা মেলে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, আর্থারের একজনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর তিনি আরও একবার নয়, একেবারে পরপর নয় গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করে ফেলেন ৷ সবাইকে সমান ভালোবাসেন তিনি। সবাইকে দামি উপহার দিতেও কোনো কার্পণ্য করেন না।
স্ত্রীদের মধ্যে যাতে কখনো অশান্তি না বাধে, তার জন্য সবসময়ই সতর্ক থাকেন আর্থার।