কানাডায় এখন পর্যন্ত নতুন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত ৯ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। হেলথ কানাডা বলেছে, কানডার ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলোজি ল্যাবরেটরি প্রভিন্স এবং টেরিটরিগুলোতে নিশ্চিত হওয়া কোভিডের প্রতিটি ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত নিয়মিত নিরীক্ষা এবং পর্যালোচনা করছে। এই নিরীক্ষার মাধ্যমেই ইউকে ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের শিকার ৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, চলমান নিরীক্ষা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত আরো ব্যক্তি এবং নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট থেকে থাকলে তা চিহ্নিত করা যাবে।
এদিকে, সামনের কয়েকটা মাস কানাডার জন্য সত্যিই কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. তেরেসা ট্যাম। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে সংক্রমণ বয়ে আনা ও কোভিড-১৯ বিস্তারের ঝুঁকি প্রশমনে কাজ করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তিনি বলেন, সব সময়ই ভাইরাসের মিউটেশন হতে পারে। এর ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়তে পারে কিংবা অন্য ধরনের বৈশিষ্ট ধারণ করতে পারে। এটা কেবল যুক্তরাজ্যে নয়, বিশে^র যেকোনো স্থানেই হতে পারে। এ অবস্থায় অনাবশ্যক ভ্রমণ না করাটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্য থেকে সব ধরনের ফ্লাইট কানাডা আসার উপর নিষেধাজ্ঞা করেছে। অন্যদিকে কানাডার স্বাস্থ্যখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল পাবলিক হেলথ এজেন্সী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- যুক্তরাজ্যে চিহ্নিত হওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন প্রকৃতি (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত) ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে না। এমনকি এটি মারাত্মক কোনো অসুস্থতাও সৃষ্টি করতে পারে না।