খুনই করা হয়েছে পল্লবীকে- অভিযোগ তুলে সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সোমবারই গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবী দের পরিবার। অভিনেত্রীর সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, সাগ্নিকের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া-অশান্তি চরমে উঠত পল্লবীর। এর পাশাপাশি ৮০ লাখ রুপির ফ্ল্যাট কিনতে পল্লবীর থেকে টাকাও নিয়েছিল সাগ্নিক।
শুধু তা-ই নয়, একাধিক ব্যাংকে পল্লবী-সাগ্নিকের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও রয়েছে, যেখানে ১৫ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। তবে মঙ্গলবার আরো চাঞ্চল্যকর দাবি করেন মৃত অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, ‘সাগ্নিকের প্রেমে পাগল ছিল পল্লবী। বড় ভালোবাসত ওকে। সাগ্নিক যে অডি গাড়িতে চড়ে ঘুরত, সেটাও আমার মেয়েই ওকে কিনে দিয়েছিল। এ ছাড়া একাধিকবার ওকে বহুমূল্যবান উপহার দিয়েছিল পল্লবী। যেমন সাগ্নিকের জন্মদিনে দেড় লাখ টাকার ল্যাপটপও দিয়েছিল। কিনে দিয়েছিল দেড় লাখ টাকার মোবাইলও।
তিনটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল সাগ্নিক-পল্লবীর নামে। কিন্তু পল্লবীর এত ভালোবাসার পরও সাগ্নিক মেয়ের আরেক বান্ধবী ঐন্দ্রিলার সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রাখত। সেটাই জানতে পেরে মেনে নিতে পারেনি পল্লবী। এ নিয়েই অশান্তি চরমে পৌঁছে।
এখানেই শেষ নয়। পল্লবীর বাবার অভিযোগ, ‘আমার মেয়ে ওর বান্ধবী ঐন্দ্রিলাকেও ভীষণ ভালোবাসত। কিন্তু ওরা দুজনে মিলেই পল্লবীকে খুন করেছে। যথাযথ তদন্ত হোক। দোষীদের শাস্তি হোক। ‘
তবে অভিনেত্রীর পরিবারের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেন ঐন্দ্রিলা। তিনি জানান, কোনো দিনই গড়ফার ফ্ল্যাটে যাননি তিনি। এমনকি, পল্লবীর সঙ্গেও বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল না। তবে মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হতো ছোটবেলার বান্ধবী হিসেবে। আর সেই সূত্রেই ওর প্রেমিক সাগ্নিকের সঙ্গে আলাপ। তাই অভিনেত্রীর বাবার এমন অভিযোগে হতবাক ঐন্দ্রিলা, এমনটাই জানান তিনি।
সম্পত্তি কেনা নিয়ে বিবাদেই কি পল্লবীর মৃত্যু! অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে এমনই প্রশ্ন উঠে আসছে পুলিশি তদন্তে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিককে প্রশ্ন করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গড়ফা থানায় গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় সাগ্নিককে। তাতেই উঠে আসে অনেক তথ্য।