9.4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

যৌতুকের জন্য গৃহবধূর হাত পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী

যৌতুকের জন্য গৃহবধূর হাত পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী - the Bengali Times

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাত পা বাধা গৃহবধু পুকুর’র পানিকে হাবুডুবি খাচ্ছে। ওই ভিডিওতে একজন নারীকে বলতে শুনা যায়, ক্যামেরা রেডি অ্যাকশন। পুকুরের পানি থেকে ঘাটে উঠলে এক যু্বক বাশের কঞ্চি দিয়ে বাড়ি দিচ্ছে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানায়, নির্যাতন’র শিকার গৃহবধুর নাম শিউলি আক্তার (১৯)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন’র চরশিহারি গ্রামের রিকশা চালক সাইদুল ইসলাম’র মেয়ে।

- Advertisement -

গত শুক্রবার (১৩ মে) নির্যাতন’র ঘটনাটি ঘটে নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ঝগড়াকান্দা গ্রামে। পরদিন শনিবার (১৪ মে) নির্যাতনের শিকার গৃহবধুকে তার বাবার বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জে ফেলে রেখে যাওয়ায় সময় গৃহবধু চিৎকার করলে স্থানীয়রা স্বামী রাজন মিয়া ওরফে রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন। এই ঘটনার পর রবিবার (১৫ মে) দুপুরে নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধু শিউলি আক্তার বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আটক রফিকুল ইসলামকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রাজন মিয়া ওরফে রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ঝগড়াকান্দা গ্রামের মৃত লালচাঁন মিয়ার ছেলে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল হক মুন্না সাংবাদিকদের বলেন, মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলামে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের অভিযানে চলছে বলেও জানান তিনি।

মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে শিউলি আক্তারের রফিকুল ইসলামের সাথে। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হলেও গত রমজানের আগে থেকে আবারও যৌতুক চেয়ে শিউলির ওপর নির্যাতন শুরু করে রাজন। শিউলির বাবা একটি মোবাইল কিনে দেন রাজনকে। এরপর ২০ হাজার টাকা ও ঘরের আসবাব যৌতুক হিসেবে চাইলে তা দিতে অস্বীকার করে শিউলি।

এরপরই শুরু হয় শিউলির ওপর নির্যাতন। ঘটনার দিন শুক্রবার (১৩ মে) শুক্রবার শিউলি আক্তারের স্বামী রাজন ও শাশুড়ি জরিনা খাতুন,জাল রুমা আক্তার মিলে মারধর করেন। একপর্যায়ে শিউলির হাত-পা বেঁধে মারধর শেষে শরীরে মরিচের গুঁড়া ডলে দেওয়া হয়। এসময় পানি খেতে চাইলে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পানি দেওয়া হয় শিউলিকে। পানি খেয়ে যন্ত্রণায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ি। ওই সময় ভিডিও ধারণ করা হয়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার বলেন, ‘আমাকে বেধড়ক মারধর করার পর, হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। আমি পানি চাইলে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পানি দেওয়া হয়। পরে যন্ত্রণায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ি। পানি থেকে উঠতে চাইলে আমার স্বামী আমাকে আবারও মারধর করে। পরে সেই মারধরের ভিডিও আমার জা রুমা আক্তার তাঁর ফোনে ধারণ করে। আমার স্বামীসহ যারা আমাকে নির্যাতন করেছে আমি তাঁদের বিচার চাই।

সূত্র : বিডি২৪লাইভ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles