9.9 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

‘আড়াই লাখ টাকা চাঁদা’ না পেয়ে বাস আটকে রাখল জবি ছাত্রলীগ নেতারা

‘আড়াই লাখ টাকা চাঁদা’ না পেয়ে বাস আটকে রাখল জবি ছাত্রলীগ নেতারা - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

আড়াই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে মিরপুর রুটে চলাচলকারী এফ আর হিমাচল পরিবহনের একটি এসি বাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

হিমাচল পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোমান অভিযোগ করেন, গত ৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাসটি পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকা থেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আটরে রাখেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ ঘটনায় থানায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেও জানান তিনি।

- Advertisement -

নোমান সমকালকে বলেন, ‘সদরঘাট থেকে মিরপুর রুটে বাস চলার সময় আমার কাছে জবি ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইত। গত ৬ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁতিবাজার মোড় থেকে কোন কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কজন কর্মী আমার গাড়ি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গেইটে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেহেদী নামের একজন ছাত্র আমাকে কল দিয়ে বলে সে আমার কাছে আড়াই লক্ষ টাকা পাবেন বলে দাবি করে। সে জানায়, টাকা না দেওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না।’

নোমান বলেন, ‘আমি তাকে বলি আপনি আমার কাছে টাকা পান এমন কোন প্রমাণ দেখাতে পারেন তাহলে আমি আপনাকে ডাবল টাকা দিবো। তখন সে আমাকে বলে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আকতার হোসেনের সবচেয়ে কাছের লোক। আমাকে কেউ কিছু করার ক্ষমতা নেই। টাকা না দিয়ে যদি এই নিয়ে বাড়াবাড়ি বা থানায় অভিযোগ করি তাহলে আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।’

নোমান জানান, তার ছোট ভাই রাকিব ও বাসের স্টাফ সাইফুল ঘটনাস্থলে গেলেও চাঁদা না পেলে বাস ছাড়া হবে না বলে জানান ছাত্রলীগ নেতারা। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তারা অভিযোগ না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে কথা বলতে বলে।

অভিযুক্ত মেহেদী বলেন, ‘আমি তার কাছে টাকা পাই তার জন্যই আমি বাস আটকে রাখছি। আমার কাছে প্রমাণ না থাকলে আমি কিভাবে শত শত পুলিশ,এনএসআই থানার ওসিদের টেক্কা দিয়ে গাড়ি আটকে রাখি? বাস মালিকের কাছে গিয়ে প্রমাণ কি আমি দিবো নাকি সে এসে প্রমাণ নিবে।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ‘জগন্নাথ ছাত্রলীগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কোনো গ্রুপিং নেই। সবাই জবি ছাত্রলীগের কর্মী। আর বাসটি আটকিয়ে রাখার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দেখবেন।’

তিনি জানান, অভিযুক্ত মেহেদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই। তবে সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী।

সোমবার সকাল ৯টার দিকেও বাসটিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে আটকে রাখতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘কিছুদিন যাবত বাসটি দাড়ানো অবস্থায় দেখায় কোতোয়ালি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে কথা বলেছি যেন বাসটি সরিয়ে নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী এ ঘটনায় জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অবিহিত করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles