ভোজ্য তেলের চড়া বাজারের মধ্যে সয়াবিন তেল মজুদের অভিযোগে সরকারি এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে ৫১২ লিটার তেলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
গ্রেপ্তার লায়েকুজ্জামান (৬০) উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, এখন অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে রয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
শুক্রবার লায়েকুজ্জমানকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার শ্যামলীতে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তা জানায় পুলিশ।
লায়েকুজ্জামান লালমাটিয়ায় থাকেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোহাম্মদপুরের কাজী নজরুল এভিনিউতে তার শ্বশুর বাড়ি। সেই বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্ব লায়েকুজ্জামানের। ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে তিনি ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল কিনে মজুত করেছিলেন।
মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মনির হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল ওই ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার তেলগুলো উদ্ধার করে বলেন জানায় পুলিশ।
উপকমিশনার বিপ্লব সরকার বলেন, “লায়েকুজ্জামানের কাছে একটি তেল কেনার রশিদ পাওয়া গেছে। সেই রশিদের সূত্র ধরে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের সূর্য এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানে যায় পুলিশ। রশিদটি দেখে দোকান মালিক পুলিশকে জানান, কয়েকদিন আগে লায়েকুজ্জামান তার দোকান থেকে ৪০ লিটার সয়াবিন তেল কিনেছিলেন ৬৩৬০ টাকায়। তবে ওই রশিদের ওপরেই নিজে বাকি তেল কেনার বিবরণ লিখেছেন লায়েকুজ্জামান।
“বাকি তেল তিনি কোত্থেকে সংগ্রহ করেছেন, তা এখনও জানা যায়নি। আর সূর্য এন্টাপ্রাইজ থেকে তিনি কী বলে ৪০ লিটার তেল কিনলেন, তাও জানার চেষ্টা করা হবে।”
মামলা দায়ের সম্পর্কে বিপ্লব সরকার বলেন, “লায়েকুজ্জামান কোনো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত না হলেও তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে এই মজুতদারি করছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তিনি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে ওই তেল মজুত করেছিলেন। এটা একটা ফৌজদারি অপরাধ।”
এই মামলার ধারা অনুযায়ী, মজুতদারি অথবা কালোবাজারের কারবারে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীন কারাদণ্ড বা ১৪ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে, সেইসঙ্গে জরিমানও করা হবে দোষীকে।
সূত্র : বিডি২৪ লাইভ