4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার কার্যক্রম এখন চলবে

পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার কার্যক্রম এখন চলবে - the Bengali Times

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হয়েছে।

- Advertisement -

ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের আদেশটির ওপর ছয় সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। ফলে পরীমনির বিরুদ্ধে চলমান থাকা এ মামলার কার্যক্রম এখন চলবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

ঢাকার সংশ্লিষ্ট একটি আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

এ মামলার অভিযোগ গঠন ও কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত ১ মার্চ হাইকোর্ট মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে মামলার কার্যক্রম বাতিল প্রশ্নে রুল দেয়। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) বিশ্বজিত দেবনাথ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

পরীমনির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহিনুজ্জামান শাহীন।

ডিএজি বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, ‘হাইকোর্ট পরীমনির মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। যেহেতু চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করেছে তাই এ মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই।’

গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর ১২ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদক জব্দের কথা জানায় র‌্যাব। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

বিলম্বে জামিন শুনানি চ্যালেঞ্জ করে পরীমনির পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করলে গত ২৬ আগস্ট পরীমনির দ্রুত জামিন প্রশ্নে হাইকোর্ট রুল জারি করে।

পরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনের আদেশ দিলে কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি।

গত বছরের ৪ অক্টোবর পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

ওই দিন সাক্ষী না আসায় ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হয়। হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে ওই দিন সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়।

সূত্র : দেশ রূপান্তর

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles