8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

বর্ণবাদ কানাডার সব সময়ের বাস্তবতা : মেরি এনজি

বর্ণবাদ কানাডার সব সময়ের বাস্তবতা : মেরি এনজি
ক্ষুদ্র ব্যবসা রপ্তানি উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মেরি এনজি

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় বন্দুক হামলায় ছয় এশীয় নারী নিহতের ঘটনায় সামনে আসতে শুরু করেছে দেশটিতে এশীয়দের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণের কথা। কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী এশীয় বংশোদ্ভূতদের প্রতি ঘৃণা ও হিংসা বাড়িয়ে দিয়েছে। নিউ ইয়র্ক সিটিতে সম্প্রতি বয়স্ক একজন এশীয় নারীকে নিগৃহ এবং আটলান্টায় নির্বিচার গুলি এর উদাহরণ। আটলান্টায় গুলিবর্ষণে সুন চাং পার্ক, হিউং জাং গ্রান্ট, সুনচা কিম, ইয়ং আয়ে ইউয়ে, ডেলাইনা অ্যাশলি ইয়াউন, জিয়াজি ট্যান, ডাউইউ ফেং ও পল আন্দ্রে মিকেলসকে হত্যার ঘটনায় ২১ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। স্পা সেন্টারে গুলিবর্ষণের ওই ঘটনায় নিহত আটজনের মধ্যে ছয় জনই এশীয় বংশোদ্ভূত।

কানাডাতে এ ধরনের হিংসা বেড়ে গেছে। ভ্যাংকুভার পুলিশের এক নথিতে এশীয়দের প্রতি ঘৃণাত্মক আচরণ লক্ষণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভ্যাংকুভারে ২০১৯ সালে এ ধরনের ১২টি ঘটনা ঘটলেও ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৮টিতে। অর্থাৎ, এশীয়দের প্রতি বৈরি আচরণ বেড়েছে ৭১৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে চাইনিজ কানাডিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের টরন্টো চ্যাপ্টার এক প্রতিবেদনে জানায়, মহামারির মধ্যে এশীয়দের প্রতি বিরূপ আচরণের এক হাজার ১৫০টি ঘটনা ঘটেছে। এর অর্ধেকই ঘটেছে ২০২১ সালের প্রথম দুই মাসে। এসব ঘটনার বেশিরভাগই ছিল মৌখিক হেনস্থা। তবে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১১ শতাংশ শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। এছাড়া ১০ শতাংশ তাদের লক্ষ্য করে থুথু ছিটানোর অভিযোগ তুলেছেন। আর ভাংচুরের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন ৪ শতাংশ। এর বিরুদ্ধে কানাডা অবশ্যই রুখে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসা, রপ্তানি উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মেরি এনজি। মেরি এনজি বলেন, বর্ণবাদ কানাডার সব সময়ের বাস্তবতা। তবে মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা চাইব, সব কানাডিয়ান এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আপনারা যদি কোনো এশীয়র প্রতি বৈরি আচরণ দেখেন তাহলে প্রতিবিাদ করবেন। আমি বিশ্বাস করি, কানাডিয়ানরা সঠিক কাজটাই করতে চান।

- Advertisement -

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এশিয়ান-কানাডিয়ানদের প্রতি সহিংতা বেড়ে যাওয়ায় আমি উদ্বিগ্ন। এর ফলে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। এটা সহ্য করা খুবই কঠিন এবং দেশব্যাপী যেসব গল্প আমি শুনেছি তা হৃদয়বিদারক।

মন্ত্রীর এক বন্ধুর ৭০ বছর বয়সী মায়ের কাছ থেকে পাওয়া একটি টেক্সট মেসেজের কথা তুলে ধরেন তিনি। মেরি এনজি বলেন, তিনি (বন্ধুর মা) এখন হাঁটতে যেতেও ভয় পাচ্ছেন এবং জানতে চাইছেন কোথায় গেলে পিপার স্প্রে পাওয়া যাবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles