11.4 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

‘তসলিমা ঘৃণার প্রতীক’, ওয়েইসির ক্ষোভ

‘তসলিমা ঘৃণার প্রতীক’, ওয়েইসির ক্ষোভ - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি কলেজে হিজাব পরে ক্লাসে যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক ও বিক্ষোভ। শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই বিষয়টি নিয়ে টুইটের পর আন্তর্জাতিক মনোযোগও আকর্ষণ করেছে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালতেও।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছিলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তার বিস্ফোরক মন্তব্য, হিজাব হল সতীত্বের পাহারাদারি করা পোশাক। যা মনে করিয়ে দেয়, মেয়েরা আসলে সম্ভোগের বস্তু। আর এমন মন্তব্যের জন্য তাকে ‘ঘৃণার প্রতীক’ বলে ক্ষোভ ঝাড়লেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

- Advertisement -

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই তসলিমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, আমি এমন কোনো মানুষকে উত্তর দিতে চাই না যিনি ঘৃণার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। এমন কোনো মানুষকে উত্তর দেব না যাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল এবং যিনি ভারতে পড়ে রয়েছেন নিজের দেশে আত্মরক্ষা করতে না পেরে। তাই আমি এখানে বসে তাকে নিয়ে কোনো আলোচনা করব না।

হিজাব বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ভারতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ হবে কিনা তা নিয়ে মামলা চলছে কর্ণাটক হাইকোর্টে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকার স্পষ্টবক্তা তসলিমা নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার।

তসলিমা বলেন, একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের পোশাক হওয়া উচিত ধর্মীয় ভেদাভেদহীন। শিক্ষকরা যে পড়ুয়াদের ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুল-কলেজে আসতে বারণ করছেন, এর মধ্যে কোনো ভুল নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মচর্চা তথা ব্যক্তিগত ভাবাবেগ অনুশীলনের জায়গা নয়।

তসলিমা আরও বলেন, বরং স্কুলে শেখানো হয় নাগরিকের অধিকার, লিঙ্গসাম্য, মানবিকতা, আধুনিক মনস্কতা, বিজ্ঞান ভাবনা ইত্যাদি।

সাক্ষাৎকারে তসলিমা নাসরিন দাবি করেন, হিজাব, বোরখা বা নেকাব নারী নিপীড়নের প্রতীক। তার মতে, হিজাব, বোরখা, নেকাব আসলে দাগ দিয়ে দেয় যে মেয়েরা যৌন বস্তু ছাড়া কিছু নয়। পুরুষদের থেকে মেয়েদের লুকিয়ে রাখা দরকার, না হয় তারা পুরুষের যৌন আসক্তির শিকার হবে, এই ভাবনা খুবই নিন্দনীয়। এই মনোভাবের দ্রুত অবসান হওয়া উচিত।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles