10.5 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৬ জনের

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৬ জনের - the Bengali Times

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সদরে দুর্ঘটনায় চারজন ও দৌলতপুর উপজেলায় দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ও আজ সোমবার সকালে পৃথক এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-

- Advertisement -

কুষ্টিয়া সদরে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বটতৈল দক্ষিণপাড়া এলাকায় মন্ডল হোটেলের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতরা সবাই বিড়ি কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে। তাদের তিনজনের বাড়ি আলামপুরে। আর একজন অজ্ঞাত।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বটতৈল ভাদালিয়া সেনের চাতালে ড্রাম ট্রাক ও ভ্যানগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত হন। একজন আহত হন। আহত যাত্রীকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর নিহতদের মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়াতে আরও দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকায় তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন ফারুক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় তারা মারা যান।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল গ্রামের হযরত আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (৩০) ও একই গ্রামের খেড় মালিথার ছেলে রাজন আহমেদ (৩৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকায় তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন ফারুক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ভেড়ামারাগামী দ্রুতগতির একটি ড্রাম ট্রাক একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। পরে স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সড়কটিতে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ট্রাকের চালক পলাতক। তাকে ধরতে চেষ্টা চলছে।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles