সদ্য ফল প্রকাশ হওয়া মাধ্যমিকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েও আর্থিক অনাটনে ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বৃষ্টি খাতুনের। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সলপ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে বৃষ্টি। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ গ্রামের ভূমিহীন দিনমজুর আইয়ুব আলীর মেয়ে বৃষ্টি। সে ২০১৮ সালে একই স্কুল থেকে জেএসসি পরীক্ষাতে গোল্ডেন জিপিয়ে- ৫ পেয়েছিল। পেয়েছিল সাধারণ বৃত্তি।
এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাতেও বৃষ্টি জিপিএ-৫ পেয়ে বৃত্তি লাভ করেছিল। বৃষ্টি খাতুনের বড় এক বোন রেহানা খাতুন এখন স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট ভাই আশিক সলপ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। তার মা নার্গিস খাতুন গৃহিণী। দুই শতক জমির উপর একটি ছাপড়া ঘরে কোন মতে বসবাস করেন বৃষ্টির পরিবার।
বৃষ্টি খাতুনের সঙ্গে কথা বললে সে জানায়, প্রায় ৩ বছর ধরে ব্যাগ সেলাই করে তার আয় থেকে নিজের এবং তার ভাই বোনের পড়ালেখার খরচ জুগিয়ে আসছে। কিন্তু এখন ভালো কলেজে ভর্তি হলে তাকে অন্যত্র থাকতে হবে। ফলে ব্যাগ সেলাই করার আর কোন সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে কলেজে ভর্তি এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা তার দিন মজুর বাবার পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বৃষ্টি এখন চরম অনিশ্চয়তা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
সলপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি মেধাবী ছাত্রী। হাজারও প্রতিকুলতা সত্ত্বেও সে নিয়মিত স্কুলে পড়ালেখা করেছে। আশা কারি সবাই তার সহায়তা এগিয়ে আসবে।
বৃষ্টির মা নার্গিস খাতুন বলেন, বৃষ্টি রাতভর বিভিন্ন দোকানের কাপড়ের ব্যাগ সেলাই করে ভাই বোনসহ তার লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে এসেছে। ওর লেখাপড়া করার খুব আগ্রহ। কিন্তু আমাদের তাকে কলেজে ভর্তি করার কোন সামর্থ নেই। তিনি দেশের সহৃদয় ব্যক্তিদের বৃষ্টির পাশে দাড়াবার অনুরোধ করেন।
সূত্র : আমাদের সময়