9.9 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

স্বামীর নির্যাতনের কথা জানিয়ে বিপাকে শবনম ফারিয়া!

স্বামীর নির্যাতনের কথা জানিয়ে বিপাকে শবনম ফারিয়া! - the Bengali Times
এই অভিনেত্রীর দাবি সাবেক স্বামীর নির্যাতনে তার হাত ভেঙে গিয়েছিল

বিচ্ছেদের বছরখানেক পর সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপুর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তিনি জানান, স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার হয়েই বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন। এই অভিনেত্রীর দাবি, সাবেক স্বামীর নির্যাতনে তার হাত ভেঙে গিয়েছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফারিয়ার এমন স্ট্যাটাসের পরই চারদিকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। দেখা যাচ্ছে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পুরো বিষয়টি নিয়ে তাই আবারও ব্যাখ্যা দিলেন শবনম ফারিয়া।

- Advertisement -

তিনি বললেন, ‘আমার মনে হয় বিষয়টা পরিষ্কার করা দরকার। কারো ভাবমূর্তি নষ্ট করার কিংবা অ্যাটেনশন পাওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না (যদিও আমি না চাইলেও বরাবরই অ্যাটেনশন পেয়ে যাই)। আগের পোস্টটি দেয়ার মূল কারণ হলো, আমাদের সমাজের দিকে আঙুল তোলা।’

ফারিয়া নিজেও ডিভোর্সের পক্ষে নন। কেউ তার কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে তিনি সময় নিয়ে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। ফারিয়ার ভাষ্য, “বিয়ে একটি অসাধারণ ব্যাপার। সুতরাং আমরা বিচ্ছেদকে নিরুৎসাহিত করি। এমনকি আমার কোনো বন্ধু যদি ডিভোর্সের ব্যাপারে বলে, আমি তাদেরকে প্রথমেই বলি, ‘সময় নাও’। কেউ মারা গেলে সমাজের মানুষ কান্না করে। কিন্তু যখন কারো বিবাহবিচ্ছেদ হয়, পুরো ঘটনা জানার আগেই মানুষ ধরে নেয়, এটা নারীর ব্যর্থতা। তারা নারীর দোষ খুঁজতে চেষ্টা করে, তার চারিত্রিক সনদ অব্দি দিয়ে দেয় এবং আমরা সবাই হাসি!”

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজের পছন্দে বিয়ে করেছি এবং আমিই বিষয়টাকে এতদূর আসতে দিয়েছি। প্রত্যেক পরিবারের মতো আমার পরিবারও প্রাথমিকভাবে আমাকে সমর্থন দেয়নি। কারণ আমার বাবা জীবিত নেই, আমার কোনো ভাই নেই কিংবা কোনো পুরুষ অভিভাবক নেই। কিন্তু পরে যখন আমার বোন আমার বিষাক্ত অবস্থা দেখে, তখন তারা আমাকে রক্ষা করে।’

দুর্বিসহ এই ঘটনা সামনে আনা সহজ ছিল না। সেজন্যই এতোটা সময় লেগেছে বলে জানান ফারিয়া। তিনি বলেন, “এই ঘটনা সামনে আনা মোটেও সহজ ছিল না। যদি হতো, তাহলে আরও আগেই এটা প্রকাশ্যে আনতাম। আমি দেখেছি, কীভাবে মানুষ পরিস্থিতি উল্টে আমার দিকে আঙুল তুলেছে। ঠিক এই কারণেই আমরা অনেক বেশি পারিবারিক নির্যাতন দেখছি। এই সমাজ পুরুষদেরকে বাহবা দেয়, আর নারীকে লজ্জা দিতে পছন্দ করে। যদি তুমি মরে যাও, মানুষের মন খারাপ হবে। কিন্তু যদি তুমি নিজেকে রক্ষা করতে বিবাহবিচ্ছেদ করো, তাহলে ‘তুমি খারাপ’।”

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশিদ অপুর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় শবনম ফারিয়ার। এরপর ফেসবুকে কথা বলতে বলতে তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন মজবুত হয়। তিন বছর ধরে চলে তাদের বন্ধুত্ব। এক পর্যায়ে দুজন পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। প্রায় দুই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। বিচ্ছেদের পর থেকে একাই রয়েছেন শবনম ফারিয়া।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles