
রিয়াদ কথায় কথায় বলেছিল, ” মেয়েদের বছরে চারবার ফুল কিনে দিতে হয়।জন্মদিন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, বিবাহ বার্ষিকী আর বড় কোনো ভুল করলে।”
সাকিব জবাবে বলল, ” ফুল তো শুকিয়ে যায়।আমি আমার বৌকে টাকা দিয়ে দেই।এত গিফট দেয়ার কী আছে? নিজে গিয়েই তো কিনতে পারে।”
রিয়াদ উত্তরে বলল, ” দেখুন আমার স্ত্রী চাকরি করে। তার যা কেনার ইচ্ছে কিনতে পারে। টাকার চেয়ে তার কাছে উপহারের মূল্য বেশি।”
বন্দনা এসব কথায় বেশি অংশ গ্রহণ করলেন না।তাহমিনা ধরে নিলো বন্দনা রুচিশীল মানুষ।সবাইকে আপ্যায়ন করতে ভালোবাসেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে যেই রিয়াদ- জুঁই দম্পতি বিদায় নিলো।বন্দনার আরেক রূপ দেখল তাহমিনা।
টেবিলে বসে মন্তব্য করল, ” এতক্ষন যে দুজনকে দেখলে না তাদের সম্পর্ক ট্রানজ্যাকশনাল।এদের দুজনের মাঝে ভালোবাসা বলে কিছুই নেই।পুরোটাই লোক দেখানো।মেকি সম্পর্ক বয়ে চলেছে।”
তাহমিনা হতভম্ব হয়ে গেল। সাকিব যোগ করল, ” ব্যাটার ঢং দেখছেন? কোনো নরমাল মানুষ নিজের বৌকে এতবার ফুল কিনে দেবে কেন? মিথ্যুক লোক একটা। যখন মানুষ নিজের পুরোনো বৌ নিয়ে এত ঢং করবে বুঝবেন ঘাপলা আছে।আর বৌটাকে দেখেছেন? ঢঙ্গি একটা। নিজেকে কী মনে করে?”
তাহমিনা ভেবে পেলো না জুঁই কখন অহংকার করল।অথচ একটু আগেই বন্দনা ওদের সাথে হাসিমুখে গল্প করছিল।জোর করে প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছিল। তাহমিনা অবাক হয়ে লক্ষ্য করল যত বার একদল অতিথি বিদায় নিচ্ছেন তত বার তাদের নিয়ে সমালোচনার হাট বসিয়েছেন বন্দনা নামক ভদ্রমহিলা।তার ভয় করতে লাগল উঠে আসার পরেই যদি ওদের নিয়ে কুৎসা করে।
“পাতা ঝরার দিন”।ইবুকটি পাবেন বইটই প্ল্যাটফর্মে।
ক্যালগেরি, আলবার্টা