12.2 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে - the Bengali Times
দিলশাদ আফরিন পিংকি

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত করায় জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার সদস্য দিলশাদ আফরিন পিংকিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন এ আদেশ দেন।

এর আগে, আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে, আসামির পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পিংকিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

- Advertisement -

রাজধানীর রমনা থেকে গত ১০ এপ্রিল দিলশাদ আফরিন পিংকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর প্রতারণা করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফাউন্ডেশনের লিগ্যাল অফিসার ফাতেমা আফরিন পায়েল রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামরুল হোসেন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

দিল শাদ আফরিন পিংকির পক্ষে তার আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে বলেন, আসামি সম্পূর্ণ নির্দোষ। মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানে না। তাকে হয়রানি করার জন্য আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।

শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান রমনা মডেল থানা আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর জিন্নাত হোসেন।

এর আগে দিল শাদ আফরিন পিংকিকে বৃহস্পতিবার রাতে রমনা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রতারণা করে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ফাউন্ডেশনের লিগ্যাল অফিসার ফাতেমা আফরিন পায়েল রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে বুলবুল সিকদার, রকিবুল সিকদার জুলাই বিপ্লবে আহত হিসেবে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন। তাদের কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় জুলাই ফাউন্ডেশনে তথ্য প্রদানের জন্য আসতে বলা হয়। ২১ মার্চ তারা ফাউন্ডেশনে উপস্থিত হলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত না হওয়া সত্ত্বেও দিল শাদ আফরিন ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র সত্যায়ন করার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে গুরুতর আহতদের তালিকায় রকিবুলের নাম তালিকাভুক্ত করতে ৫০ হাজার এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য আরও ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।

জুলাই বিপ্লবে শহিদ আহসান কবির শরিফের স্ত্রী হাদিসা আক্তার হ্যাপিকে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আড়াই লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। এছাড়া আরও কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করে।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles