0.1 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

আমার প্রেম হলে ওদের কী সমস্যা: পরীমণি

আমার প্রেম হলে ওদের কী সমস্যা: পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণি

অবশেষে পূরণ হচ্ছে পরীমণির ইচ্ছা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ‘ফেলুবক্সী’র মধ্যদিয়ে কলকাতার সিনেমা নাম লিখিয়েছেন তিনি। এবার এটি মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। দেবরাজ সিনহার পরিচালনায় এতে তার বিপরীতে আছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। ‘ফেলুবক্সী’র মুক্তিকে সামনে রেখে নায়িকা মুখোমুখি হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি গণমাধ্যমের। কথা বলেছেন সিনেমা ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে।

অনুরাগীরা ভাবছেন, আপনি আবার প্রেমের সম্পর্কে আছেন। সবাই শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলেন… এমন প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি বলেন, ‘কী করে যে বোঝাই, আমার আর প্রেম আসে না। ওই জোন থেকে বেরিয়ে এসেছি। সবার শুভেচ্ছা পড়তে পড়তে মনে হলো- বুঝি বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও’র পুরো অংশ দিয়ে আত্মসমর্পণ করলাম। আরও একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম।’

- Advertisement -

তিনি আরও বলেন, ‘ওই যে বলে না- যার বিয়ে তার খরব নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই। আমার যেন সেই দশা। আমার প্রেম নিয়ে আমার যত না মাথাব্যথা, বাকিদের যেন বেশি! আরে আমার প্রেম, নতুন প্রেম- কোথায় আমি উত্তেজনায় ফুটব। জেগে স্বপ্ন দেখব। আনন্দে মেঘমুলকে ভাসব- তা না, তাদের দেখি কী উৎসাহ-উদ্দীপনা। আমার প্রেম হলে ওদের যে কী সমস্যা? দেখি মন-টন ভেঙে যায়। আমি কারও হব না- তাতে লোকে খুশি। একজন কারও হলেই বিশাল ব্যথা। আমি কারও নই বাবা, তোমরা খুশি থাক।’

পরীমনি আর নায়িকা নয়, অভিনেত্রী হতে চান। দুষ্টুমি করতে চান না। নতুন করে প্রেমে পড়তেও নারাজ! জীবন কি পরীকে বড় করে দিল? এমন প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, ‘বড় না, জীবন অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। অনেক রকমভাবে চলতে শিখিয়েছে। সম্ভবত আমার এখন সেই অবস্থা যাচ্ছে। তা ছাড়া এত প্রেম করেছি, আমার মতো ফাটিয়ে প্রেম বোধহয় ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ করেনি। তাই আমার প্রেমের কোটা শেষ।’

এরপর পরীকে প্রশ্ন করা হয়- এটা পরীর বাইরের দিক, অন্তরে পরী কি খুব একা, ক্লান্ত? উত্তরে তিনি বলেন, ‘নিজেকে নিয়ে এভাবে কোনো দিন ভাবিইনি। হ্যাঁ, কখনো কখনো অবশ্যই ক্লান্ত লাগে। দিন দুই আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছি- আমি নামেই পরী, আমার তো পরীদের মতো জীবন নয়। আমিও বাকিদের মতো রক্ত-মাংসের মানুষ। আমারও মন খারাপ হয়, রাগ হয়, দুঃখ হয়। তবে এখন রাগ-অভিমান-মন খারাপের কোনো জায়গা জীবনে নেই। কার ওপর রাগ করব? এসব অনুভূতি সরে যাওয়ায় আমি সুখি। কারণ এই অনুভূতিগুলো মনের ওপরে ছাপ, চাপ- দুটোই ফেলে। বিশেষ করে প্রেমে পড়লে। কারও ফোন ধরতে না পারলে বা আমার ফোন না ধরলে মন খারাপ (বলেই হাসি)। কী জ্বালা বলুন তো- এসব নেই বলেই ছেলেমেয়েদের সামলেও কাজে মন দিতে পারছি। আমার এটাই চ্যালেঞ্জ ছিল, একা হাতে সন্তান মানুষ করে পেশাজীবনেও উন্নতি করব। যাতে আমার দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে ওরা গর্ব করতে পারে। এই মনোযোগ যদি আরও আগে দেখাতাম, তা হলে আমার অবস্থান হয়তো আরও অন্য রকম হতো।’

কলকাতায় বাড়ি কিনবেন পরী? ফুচকা, রসগোল্লা… এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, ‘(উমমমম) নেব নেব। একটা বাড়ি কিনব ভাবছি।’

জানতে চাওয়া হয়, ‘ফেলুবক্সী’তে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে এ রকমই খুশি হয়েছিলেন? উত্তরে পরী বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, অভিনয় করার ভাবনা নিয়ে কলকাতায় আসিনি। মনে মনে কোনো প্রস্তুতি না থাকলে সেটি হলে বা না হলে কোনো অনুভূতি তৈরি হয় না। আমারও তাই। কারণ তখনো আমি পুরোপুরি মাতৃত্বে ডুবে। পদ্ম আরও ছোট। ওকে সামলে কী করে কাজ করব- সেটিই একমাত্র চিন্তা। ওকে ছেড়ে কাজ করার ভাবনাও নেই। কিন্তু ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্র শোনার পর সেই আমি কিছুতেই “না” বলতে পারলাম না। একটাই অনুরোধ- এক্ষুনি চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। বললে ছবি দেখার আনন্দই মাটি (হাসি)।’

প্রযোজক ও নায়ক সোহম চক্রবর্তী সম্পর্কে জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, ‘খুব বেশি আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। তখন একটাই চিন্তা, তাড়াতাড়ি শট দিয়ে পদ্মর কাছে যেতে হবে। সেটের প্রত্যেকে সেই বিষয়ে ওয়াকিফহাল ছিলেন। যে কারণে কেউ আমায় আটকাতেন না। এও জানি, এসব হয়েছে সোহম দার জন্যই। খুবই সহযোগী তিনি।’

সোহম পশ্চিমবাংলার শাসক দলের বিধায়ক, জানেন তো? এমন প্রশ্নে উত্তরে জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘আর বলবেন না- প্রথম দিনের দৃশ্যে অভিনয় করব। সোহম দার দেহরক্ষীরা বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে। গেটের সামনে, সিঁড়ির মুখে। আমরা শিল্পীরা তো এভাবে কাজ করে অভ্যস্ত নই। ফলে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটছিল। শেষে সুন্দর করে অনুরোধ জানালাম- সোহম দা, ওদের একটু সরে দাঁড়াতে বলবেন? একগাল হেসে সঙ্গে সঙ্গে অনুরোধ রাখলেন। সরিয়ে দিলেন দেহরক্ষীদের। একটু চিন্তা হয়েছিল, যদি সোহম দা ভুল বোঝেন। আসলে একজন শিল্পীকে শিল্পীর মতো করে পেতে চেয়েছিলাম।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles