9.4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ হাইকোর্টের

মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ হাইকোর্টের - the Bengali Times
ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের আপত্তিকর বক্তব্য ও অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সব ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম থেকে অডিও-ভিডিও সরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আগামীকালের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

- Advertisement -

আর মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যারিস্টার সুমন।

ব্যারিস্টার ‍সুমন আদালতে বলেন, জরুরিভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিওগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথা বার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।

বিএনপির একজন শীর্ষ নেতার পরিবার নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই ডা. মুরাদ হাসানের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপের ওই অডিওতে মুরাদ হাসানকে অশ্লীল কথাবার্তা ও নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দিতে শোনা যায়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

এরপর সোমবারই মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজই তার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের কথা রয়েছে।

কয়েক দিন আগে ইউটিউবে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বিএনপি শীর্ষ এক নেতার মেয়েকে অশালীন বক্তব্য দেন ডা. মুরাদ হাসান।

বিএনপি তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়। সোমবার এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।

এদিকে ডা. মুরাদের অডিও ভাইরালের সত্যতা স্বীকার করেছেন মাহিয়া মাহি। সোমবার সৌদি আরব থেকে ফেসবুক লাইভে মাহি বলেন, ঘটনাটি দুই বছর আগের।

সে সময়ে তার বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার জবাব আমার জানা ছিল না।

সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে প্রথম রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন মুরাদ হাসান। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনার পরপর প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের পুরোনো কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় নেট মাধ্যমে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ অনেক রাজনীতিকও এর নিন্দা জানিয়েছিলেন।

তখন থেকেই একের পর এক বিকৃত অশালীন বক্তব্য, প্রতিহিংসামূলক আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি সব মিলিয়ে ভাইরাল হয়ে আলোচনায় ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। গত শনিবার একটি টিভি টকশোতে উপস্থিত বিএনপির সাবেক এক নারী এমপিকে ‘মানসিক রোগী’ বলে অভিহিত করে তার সঙ্গে বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তিনি।

পেশায় চিকিৎসক জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।

In the government formed after the Eleventh Parliamentary Election, Murad Hasan was first given the charge of State Minister in the Ministry of Health and Family Welfare. Later, in May 2019, he was appointed Minister of State in the Ministry of Information and Broadcasting.

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles