0.6 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

নায়িকা মাহিকে ধর্ষণের হুমকি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর : গোপন ফোনালাপ ফাঁস

নায়িকা মাহিকে ধর্ষণের হুমকি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর : গোপন ফোনালাপ ফাঁস - the Bengali Times
ফাইল ছবি

বেশকিছু দিন ধরে বিভিন্ন কারণে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। কখনও বিরোধী দলের নেতাকর্মী নিয়ে আবার কখনওবা চলচ্চিত্র জগতের লোকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। তবে এবার আরও ভয়ংকর তথ্য ভেসে ভেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। যেখানে কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অপর প্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

- Advertisement -

ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। তবে এ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী কিংবা মাহিয়া মাহির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর দুদিন আগেই ইউটিউবে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার পরিবারের এক নারী সদস্যকে উদ্দেশ্য করে অশালীন বক্তব্য দেন ডা. মুরাদ হাসান। প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে হাস্যরস করতে করতে ওই নারীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন তিনি।

মুরাদ হাসান সেই ফোনটি করেন চিত্রনায়ক ইমনকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা এখন কোথায় আছে। পরে এক পর্যায়ে মুরাদ হাসান জানতে চান, তার সাথে কে কে আছে?

ইমন তাকে জানান, এক পরিচালকের সঙ্গে তিনি ও মাহিয়া মাহি কথা বলছেন। পরে ফোনটি মাহিকে দেন ইমন। তখন মাহীর সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মাহিকে নিয়ে হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেখা করতে বলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান।

ভাইরাল হওয়া ক্লিপটি তার স্বীকার করে ইমন বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি সত্যি। তবে এটি সাম্প্রতিক নয়, বছর দুই আগের। এ বিষয়ে ইত্তেফাক অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন চিত্রনায়ক ইমন।

ইমন বলেন, ‘একজন মন্ত্রী যখন আমাকে কল দেন আমি তো ধরবোই তাই না? কোনো ইনটেনশন নিয়ে আমি কথা বলেনি। উনি আসলে মাহীর সঙ্গে কি কি কথা বলছেন আমি তো জানতাম না। কারণ ফোনটি লাউড স্পিকারে ছিলো না। যদিও মাহীও আমাকে কিছু জানায়নি। কারণ আমরা আসলে সিনেমার মহরত নিয়ে কথা বলছিলাম। এখন অডিওটা শুনে আমি জানতে পারলাম সেদিন মাহি কতোটা বিব্রত ছিলো।’

ইমন বলেন, আপনারা তো অডিওটা শুনেছেন। আসলে আমি তো উনার মতো লোকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারি না। তাই উনার কথা মতো আমি বাধ্য হয়ে বলেছি, ‘হ্যাঁ, ভাই আসতেছি। দেখছি ভাই।’

ইমনের দাবি, একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী যেকোনও শিল্পীকেই ফোন দিতেই পারেন। কিন্তু এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি নিজেও হতাশ মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপ শুনে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles