8.8 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

ব্যবসায়ী জসিম হত্যা : প্রেমিকা রুমা ও তার বান্ধবীর দায় স্বীকার

ব্যবসায়ী জসিম হত্যা : প্রেমিকা রুমা ও তার বান্ধবীর দায় স্বীকার - the Bengali Times

দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন প্রেমিকা রুমা ও তার বান্ধবী

নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম (৬২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুমা আক্তার (২৮) ও তার সহযোগী বান্ধবী রোকসানা ওরফে রুকু (২৬) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হায়দার আলীর আদালতে পর্যায়ক্রমে জবানবন্দি দেন তারা।

- Advertisement -

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) কাইউম খান আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালতে জবানবন্দি দেওয়া রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার তাতরাকান্দা গ্রামের নজর আলীর মেয়ে। তার বান্ধবী রোকসানা ওরফে রুকু ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার কানিকশালগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল হকের মেয়ে। জবানবন্দি দেওয়া দুজনই শেওড়াপাড়া এলাকার ডা. হাবিবুল্লাহর বাড়ির ভাড়াটিয়া।

জবানবন্দিতে রুমা উল্লেখ করেন, জসিম উদ্দিন তাকে বিয়ে করবেন বলে সম্পর্ক তৈরি করেন। এরপর কাফরুলের শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে তাকে রাখেন। মাসে মাসে তাকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিতেন জসিম। কিন্তু কিছুদিন ধরে রুমা জানতে পারেন, জসিম অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাকে বিয়ে না করা এবং অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় রুমার মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ক্ষোভ থেকেই জসিম উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যার পর মরদেহ গুমে তাকে সহায়তা করেন বান্ধবী রোকসানা রুকু।

রুকু তার জবানবন্দিতে বলেন, জসিমের সঙ্গে রুমার সম্পর্কের বিষয়টি তিনি জানতেন। জসিমকে হত্যার পর বিষয়টি রুমা তাকে জানিয়ে মরদেহ গুমের জন্য সহায়তা কামনা করেন। তখন তিনি মরদেহ গুমে তাকে সহায়তা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান বলেন, আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আরও অনেক কিছু জানার বাকি রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, রুমার সঙ্গে শিল্পপতি মাসুমের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্ককে কেন্দ্র করে রোববার (১০ নভেম্বর) শেওড়াপাড়ায় রুমার ভাড়া বাসায় মাসুমকে প্রথমে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করা হয়। পরে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ চাপাতি ও হ্যাকস ব্লেড দিয়ে খণ্ড খণ্ড করে পাঠাওয়ের গাড়িযোগে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন রুমা।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ নভেম্বর) পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকের পাড়ে কালো পলিথিনের ব্যাগে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের টুকরা টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডায়িংয়ের মালিক।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles