8.8 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

মিতুর গডফাদার ছিলেন ওবায়দুল কাদের!

মিতুর গডফাদার ছিলেন ওবায়দুল কাদের! - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের উঠতি নায়িকা জাহারা মিতু। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জাহারা মিতু ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৭’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।

শাকিব খানের সঙ্গে তার সিনেমা আগুনের মুক্তি না পেলেও রাতারাতি পালটে যায় জাহারা মিতুর জীবন। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হলেও খুব দ্রুতই বিত্তশালি হয়ে উঠেন তিনি।

- Advertisement -

গুঞ্জন রয়েছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাত ধরেই রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেছে জাহারা মিতুর। এমন শোনা যায়, রাতে কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েই বাসায় ফিরতেন এই নায়িকা। এক সাক্ষাৎকারে মিতু নিজেই বলেছেন,ওবায়দুল কাদের আমার আইডল। এদিকে কাদেরও শত ব্যস্ততার মাঝেও নায়িকাকে সময় দিতেন। মিতুর একটি বইয়ের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে সাবেক এই সেতুমন্ত্রীকে দেখা গেছে।

তারও আগে মিতুর প্রথম সিনেমার মহরতেও উপস্থিত ছিলেন কাদের। ‘আগুন’ নামের সেই ছবির মাধ্যমেই নায়িকা বনে যান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত অফসাইডের নায়িকা হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। যদিও তার বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়েও চলছে আলোচনা। ঘন ঘন বিদেশ সফর, পাঁচ তারকা হোটেলে রাতযাপনসহ নানা বিষয় সামনে এসেছে। অনেকের মতে, মিতুর গডফাদার ছিলেন কাদের। এমনকি কাদেরকে নিজের অভিভাবক হিসেবেও একাধিকবার স্বীকার করে নিয়েছেন এই উঠতি নায়িকা।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই মিতুর সঙ্গে কাদেরের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে চলছে আলোচনা। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমেও বলা হয়েছে, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মিতুর। এমনকি প্রায় রাতেই তাদের দেখা হতো। শুধু তাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নিজের ছবি-ভিডিও এবং ঘনিষ্ঠতা দেখিয়ে অনেক কাজও বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন তিনি। এই নেতার ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন প্রযোজকদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন মিতু। সিনেমায় নিজের প্রভাব খাটাতে থাকেন। এমনকি প্রযোজকদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নিজের এই সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন মিতু। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ডিজিটাল যুগে সবকিছুর রেকর্ড থাকে। আমার বাসা থেকে বের হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ যেমন থাকবে, আমি কোথাও গেলে সেটারও রেকর্ড থাকবে। কললিস্টেরও রেকর্ড থাকে। এসব বুঝেশুনে নিউজ করতে হয়। দেশের সর্বোচ্চ একজন মন্ত্রীকে, মন্ত্রীপাড়ায় প্রতিদিন ঘুম পাড়ানোর নিউজ কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ সবজি সেবনের ফলেই লেখা যায়। এর থেকে হাস্যকর নিউজ আমি আমার বাপের জন্মে দেখিনি। এদিকে সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ মিতু জানিয়েছেন, কোনো পুরুষকেই তার ভালো লাগে না। বিশ্বাস করতে পারেন না তিনি। এক ধোঁকাবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রেম-ভালোবাসা থেকেও মন উঠে গেছে তার।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles