3.4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

প্রেমের টানে মেক্সিকো ছেড়ে বাংলাদেশে যুবতী, বিয়ের পর বদলে নিলেন ধর্ম

 

প্রেমের টানে মেক্সিকো ছেড়ে বাংলাদেশে যুবতী, বিয়ের পর বদলে নিলেন ধর্ম - the Bengali Times
ছবি সংগ্রহ

 

- Advertisement -

দিনভর ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে পছন্দ করতেন। আর সেখানেই নিজের জীবনের পছন্দের মানুষ খুঁজে পেলেন মেক্সিকান যুবতী। বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে প্রথমে পরিচয় হয় মেক্সিকান কন্যার। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেম জমে ওঠে। আর সেই প্রেমকে পরিণতি দিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই চলে আসেন গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস নামে ওই যুবতী। সেইসঙ্গে পালটে ফেলেন নিজের ধর্মও। আপাতত কয়েকদিন শ্বশুরবাড়িতেই কাটাবেন তিনি। তারপর নতুন বরকে নিয়ে ফিরবেন স্বভূমে।

বাংলাদেশের জামালপুরের বছর উনত্রিশের যুবক রবিউল হাসান রুমান। তাঁর স্ত্রী বছর বত্রিশের গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস মেক্সিকান (Mexican)। দু’জনের আলাপ হয় ফেসবুকে। রুমান ময়মনসিংহের রুমডো ইনস্টিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষে ফ্রিল্যান্স করছেন। তিনি বলেন, ”ভালভাবে ইংরেজিতে কথোপকথনের জন্য একজন বন্ধু খুঁজছিলাম সামাজিক মাধ্যমে। ২০১৯ সালে মেক্সিকোর তরুণী গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব থেকে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।” দু’বছর ধরে একে অপরকে গভীরভাবে চিনে নেওয়ার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

গত ২১ তারিখ সকালে বাংলাদেশে পৌঁছয় গ্লাডিস নাইলি। রুমান ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান গ্লাডিস নাইলিকে। ওইদিনই ঢাকা জজ কোর্টে গিয়ে এফিডেভিট করে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন মেক্সিকান যুবতী। তারপর দু’জনের বিয়ে হয়। গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস থেকে তাঁর নাম হয়েছে লাইলি আখতার। জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রাম রুমানের বাড়ি অর্থাৎ লাইলির শ্বশুরবাড়ি। রুমানকে বিয়ের পর সেখানেই রয়েছেন তিনি। বিদেশি বউকে দেখার জন্য প্রতিদিনই বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা।

গ্লাডিস নাইলি ওরফে লাইলি আখতার জানিয়েছেন, তিনি মেক্সিকোর পোএবলা শহরের ব্যবসায়ী গ্রেগ্রোরিও টরিবিওর কন্যা। মেক্সিকোর বেনেমেরিটা অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অব পোএবলা থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক হন তিনি। বাংলাদেশে এসে নতুন করে সব আবিষ্কার করছেন তিনি। বলছেন, ”বাংলাদেশ দেখতে অনেক সুন্দর এবং এই গ্রামের লোকজন অনেক সহজ-সরল। তাদের সঙ্গে মিশে আমার ভাল লেগেছে। কয়েকদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকার পর মেক্সিকোতে ফিরে যাব।পরে দুই দেশের নিয়ম অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকতা শেষে রবিউলকে মেক্সিকোতে নিয়ে যাব।”

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles