
সপ্তাহে একদিন সোমবার এবং মাসের প্রথম শুক্রবার টরন্টো ডাউন টাউন অফিসে সশরীরে যেতে হয়। গতকাল শুক্রবার ছিল জুন মাসের প্রথম শুক্রবার। দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষ করে লান্চ করতে গিয়েছিলাম রয়েল ব্যাংক প্লাজার নীচে ফুড কোর্টে। লান্চ শেষে বে স্ট্রীট ধরে হাঁটছি সিআইবিসি স্কোয়ারের দিকে।
পাশাপাশি অনেক লোকজন চলাচল করছে। ইউনিয়ন স্টেশনের আঁশে পাশে হোমলেস মানুষের আনাগোনা সবসময়ই থাকে। বাংলাদেশের কমলাপুর স্টেশনের মত। রাস্তার বাম দিক দিয়ে হাঁটছিলাম, হঠাৎ মনে হলো আমার ডান দিকে কেউ একজন বমি করে রেখেছে। সরাসরি না তাকিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছিলাম। তখন মনে হলো পথচারী কেউ একজন লাফিয়ে উঠলো। ও দিকে না তাকিয়েই বুঝতে পারলাম দ্রুত বেখেয়ালে হাঁটার সময় লোকটার পা ঐ বমির মধ্যে পড়েছে! আরো বুঝতে পারলাম লোকটি হাঁটার সময় মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে হাঁটছিল। অর্থাৎ টেক্সট করছে বা কিছু একটা স্ক্রলিং করছে আর হাঁটছে। একটু সামনে এগিয়ে থেমে ডান পাশে তাকিয়ে দেখি লোকটি পা রাস্তার সাথে টোকা দিয়ে পরিস্কার করার চেষ্টা করছে।
স্বপ্রণোদিত হয়ে লোকটার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম, সো হোয়াট লেসন হ্যাভ ইউ লার্নড টুডে?
প্রশ্ন শুনে কিছুটা বিব্রত যুবকটি মুখে সামান্য দুঃখের হাসি টেনে তাকালো আমার দিকে!
আবার বললাম, ডোন্ট ওয়াক অন দ্যা রোড এন্ড স্ক্রল ইউর ডিভাইস! বলে হন হন করে চলে এলাম! লোকটি মাথা নেড়ে সম্মতি সুচক সহমত প্রকাশ করলো!
কথাগুলো বলতে পেরে আমিও মনে শান্তি পেলাম!
সত্যি কথা বলতে, যারা রাস্তায় হাঁটার সময় বা রাস্তা পার হবার সময় ফোনে কথা বলেন বা ফোনের দিকে তাকিয়ে ফেসবুকিং বা ভিডিও কলে কারো সাথে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হন, তাদেরকে আমি একেবারেই অপছন্দ করি। এটা সবার জীবনের জন্যেই মারাত্মক হুমকি! ইফ ইউ আর ওয়ান অফ দেম রিডিং মাই স্টাটাস টুডে, ডোন্ট ডু দ্যাট।