আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত ও ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়া বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন তসলিমা নাসরিন। আজ রবিবার বিকেলে তসলিমা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে এই সমালোচনা করেন।
তার জেরে এবার তসলিমা নাসরিনকে বাজে ভাষায় আক্রমণ করে ফেসবুকে পাল্টা একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ। প্রিন্স মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন…
“আলোচিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটা নিয়ে এবার সমালোচনা করছে লেখিকা তসলিমা নাসরিন। লিখছে রেহানাকে তার সংবেদনশীল, সৎ বা উদার কোনো মানুষ মনে হয় নাই। হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না। এই নারসিসিস্ট বেয়াদব মহিলা তো নিজেই সংবেদনশীল না। ‘আবরার এমনি এমনি মরে গেছে, হত্যা ইচ্ছাকৃত নয়’ বলার পর আমি তাকে দীর্ঘদিন একা থাকার জন্য সে অসুস্থ ও ট্রিটমেন্ট নেয়ার পরামর্শ দিলে সে আমাকে ডিলিট করে। যে নিজের সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা সে মুক্তমনা, উদার হয় কেমন করে? যে লেখা সামান্য বোঝে সে জানে যে তছলিমার লেখা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং একটা কবিতা লিখেছি একটু দেখুন না দেখুন না করে বড় বড় লেখকদের পা চেটে একটা জায়গা করে নিয়েছিল মাত্র। আর ডাক্তার এবং মোটামুটি সাদা চামড়ার নাদুস-নুদুস একটা কিছু ছিল বলে বড় লেখকদের সহযোগী হিসেবে জায়গা পেয়ে যায়। দুএকটা নিম্নমানের বই-টই লিখল। অশিক্ষিত মৌলবাদীরাও হৈ হৈ করে উঠল। দেশের বাইরে একটা পার্মানেন্ট ব্যাবস্থা হয়ে গেল। ওরে আর পায় কে? আচ্ছা, ও সিনেমার কী বোঝে? এই বয়সে অতৃপ্তিতে ভুগছে। কিছু বলদ ফ্যান-ট্যান জুটিয়ে সহমত দিদি, সহমত দিদি শুনতে শুনতে দিন দিন আরও এবনরমাল হয়ে যাচ্ছে। মুক্তমনা শব্দের … মেরে ছেড়েছে ফাজিলটা …”
এর আগে তসলিমা নাসরিন তার পোস্টে বলেছিলেন…
“প্রথম কানে গিয়েছে বাংলাদেশের কোনও ছবি, খুব স্বাভাবিক যে সে ছবিটি দেখার আগ্রহ খুব হবে আমার। ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হল কাল রাতে। রেহানা মারিয়াম নূর। ছবিটির প্রধান চরিত্রে আমার মনে হয়নি আছেন কোনও সৎ বা উদার কোনও মানুষ। প্রথম থেকেই তিনি রগচটা, রুক্ষ, স্বার্থপর, একগুঁয়ে, আত্মকেন্দ্রিক। ধার্মিক রেহানাকে যদি নারীবাদী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়ে থাকে, তাহলে ভুল। নারীবাদীদের সংবেদনশীল হতে হয়। যত না সংবেদনশীল তিনি, তার চেয়ে বেশি প্রতিশোধপরায়ণ। তাঁর জন্য কোনও শ্রদ্ধা বা সহানুভূতি জন্মায়না।
ছবিটি ডেনিশ ডগমা ফিল্মের মতো হাত-ক্যামেরায় শুট করা। কিন্তু বারবারই জনমানবহীন হাসপাতালের একই করিডোর, একই ঘোলা ঘর। কোনও আউটডোর নেই। কোনও আকাশ বাতাস নেই।
ছবিটি ছবি না হয়ে কোনও ডার্ক নাটক হলে ভালো হতো। সিনেমার বড় পর্দায় না দেখিয়ে মঞ্চে দেখালে মানাতো”।