কলকাতায় খুন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। সেই সঙ্গে প্রায় ক্লু-লেস এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এমপি আনার হত্যা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এমন কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন। ভারত ও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দারা এক্ষেত্রে সমন্বয় করছে এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরো বলেন, চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে আমাদের দিক থেকে সরকার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে পূর্ণমাত্রায় সহায়তা দিচ্ছে।
চলতি মাসের ১২ তারিখ ঢাকা থেকে কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৩ মে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা আবাসিক ভবনে খুন হন। তাকে হত্যার পর লাশ গুম করতে দেহের চামড়া ছাড়িয়ে হাড়-মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর চার টুকরা করা হয় মাথার খুলি। এরপর দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে ভরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। অন্যদিকে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।
বাংলাদেশে গ্রেফতার তিনজন হলেন- আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান।
পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি গ্রেফতার করেছে জিহাদ হাওলাদার নামের এক কসাইকে। ২৬ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন তিনি।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ