নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এদেশে জামায়াত এবং বিএনপিকে দিয়ে কিছু ঘটনা ঘটাতে চাচ্ছে। তাদের একটা হিট লিস্ট আছে, সেখানে আমার নামও আছে। আমাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেননা আমাকে মেরে ফেলা হলে একটা ভয়ের সৃষ্টি হবে। আমি মরে গেলে কিছু হবে না দেশের। কিন্তু আল্লাহ যদি শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে দেশের কিছু হবে না। তবে একটা ভীতির সৃষ্টি হবে যে, শামীম ওসমানকে মেরে ফেলছে। তেমন একটা পরিকল্পনা নিয়ে ওরা আগাচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্রে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘এই পরিকল্পনাকে যদি আপনারা বাস্তবায়ন করতে দিতে না চান, তাহলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। তবে আমি কোনো ভোট চাইতে আসি নাই; ভোট চাইব না। সমস্যা আপনার, আপনি কাকে ভোট দিবেন এটা আপনার পছন্দ। যদি মনে করেন ফল খাবেন তাহলে ফল গাছ লাগাবেন। আর যদি মনে করেন কাটার আঘাত পেতে চান তাহলে কাটা যুক্ত গাছ লাগাবেন।’
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইল নৃশংস হামলা করছে। তাদের দেশের ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করছে। সেসব বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলছে না। ফিলিস্তিনের মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে। তাও কথা বলা হচ্ছে যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে; সহিংসতা করছে। যারা একুশে আগস্টে আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে গ্রেনেড হামলা করেছে। তাদের পক্ষে কথা বলা হচ্ছে যারা ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে ৩ হাজার ২২৬ জন লোকের গায়ে আগুন দিয়েছে। ১৯ জন পুলিশকে কুপিয়ে মেরেছে। আবার কয়দিন আগে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে একজন মৃত পুলিশের হেলমেট খুলে চাপাতি দিয়ে কোপানো হল। আবার ট্রেনে আগুন দিল, সেখানে মা আর বাচ্চা একসাথে পুড়ে মারা গেল। সে প্রশ্নে কিন্তু কথা বলছে না ওই সমস্ত শক্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা বেশি শতাংশ ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে পারি তাহলে ওইসব শক্তি হেরে যাবে। তারপরেও হয়তো ওরা ছোবল মারবে। ওরা সরে যাবে না। তবে আমার নেত্রীর ওপর আল্লাহর রহমত আছে। তাই আল্লাহর রহমতের সাথে শয়তার কখনো পারবে না। ওরা শয়তানি করবে কিন্তু পারবে না।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘অনেক বড় বড় বন্ধু রাষ্ট্র আমাদের পক্ষে আছে; এর বেশি কিছু আমি আপনাদের বলতে পারছি না। তাই আপনারা একটু সচেতন হোন। আপনারা নিজের ভোট দিবেন, পাশাপাশি আপার সঙ্গে যারা আছে তাদেরও ভোট দিতে উৎসাহিত করবেন। এছাড়াও আপনি এখানে থাকেন, কিন্তু আপনার কোনো আত্মীয় হয়তো অন্য আরেক জেলায় থাকে। তাদেরও নৌকায় ভোট দিতে উৎসাহিত করবেন।’