13.5 C
Toronto
রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

ছোটবোনকে দ্বিখণ্ডিত করে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা ভাইয়ের

ছোটবোনকে দ্বিখণ্ডিত করে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা ভাইয়ের
ছবি সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ইভা বেগম (১০) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে আপন ভাই রবিউল হাসান (১৯)। গত শনিবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রিট ইসরাত জাহানের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে তার নিজের বোনকে গলা কেটে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় সে।

শনিবার রাত ৯টায় ছাতক থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ বিঞ্জপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। আসামির তথ্যমতে পুলিশ গত শুত্রু বার রাতে শিশু ইভার মাথাটি উদ্ধার করেছে।

- Advertisement -

সে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুর্শী গ্রামের মোশাহিদ আলীর ছেলে।সে খালেদ নূর হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এই মামলায় সে ১১ মাস কারাগারে ছিল। সম্প্রতি ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে সে জামিনে বের হয়ে আসে।

জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর বিকালে গ্রামের দোকানে মোবাইল কার্ড ক্রয় করতে যায় তার বোন ইভা।এর পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মস্তকবিহীন দেহ মিলে গ্রামের আতাউর রহমানের ধানক্ষেতে। দেহ উদ্ধার করে পরদিন পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের পর তার লাশ দাফন হয়।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয় ওই স্কুল ছাত্রীর বড়ভাই রবিউল হাসানকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের আপন ছোট বোনকে হত্যার দায় কথা স্বীকার করে সে। ধানক্ষেত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধারের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাতে দক্ষিণ কুর্শী গ্রাম সংলগ্ন আতাউর রহমানের ধানক্ষেত থেকে মস্তক উদ্ধার করে পুলিশ।

গত শনিবার বিকালে তাকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করার পর আদালতের কাছে সে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে খালেদ নূর হত্যা মামলার বাদীকে ফাঁসানোর জন্য নিজের আপন ছোট বোনকে গলা কেটে দ্বি-খণ্ডিত করে দেহ ও মস্তক ধানক্ষেতে ফেলে রাখার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর উত্তর কুর্শী গ্রামের খালেদ নূরকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ওই রবিউল হাসানকে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles