7.4 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

ভ্যাকসিনেটেড ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে

ভ্যাকসিনেটেড ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে - the Bengali Times
ফেডারেল সরকারের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে শ্লথগতির কারণে এই শীতে শ্রমিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে স্কি রিসোর্টগুলোছবি স্কি কানাডা

স্কি কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পল পিঞ্চবেক বলেন, ভ্যাকসিনেটেড ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে এবং ভ্যাকসিন পাসপোর্টের কারণে অতিথি ধারণক্ষমতাও বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রত্যাশিত ব্যস্ত স্কি মৌসুমকে সামনে রেখে দেশব্যাপী রিসোর্টগুলো সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, কানাডিয়ান স্কি রিসোর্টগুলো আন্তর্জাতিক শ্রমিকের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। কিন্তু ফেডারেল সরকারের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে শ্লথগতির কারণে এই শীতে শ্রমিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে স্কি রিসোর্টগুলো।

- Advertisement -

পল পিঞ্চবেক বলেন, আমাদের পণ্যের চাহিদা লক্ষ্যণীয় হারে বেড়েছে। মৌসুমের আগেই ট্রাভেল বুকিং ও মৌসুমি পাস সেল তার প্রমাণ। কিন্তু দেশব্যাপী আমরা হাজারও কর্মী সংকটে আছি, যা এ বছর আমাদের সেবা সরবরাহে বিঘœ ঘটাতে যাচ্ছে। এর ব্যাপকতা আন্দাজ করার মতো নয়।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কেলোনায় বিগ হোয়াইট স্কি রিসোর্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল বেলিঙ্গল বলেন, আমাদের কর্মীদের ৬০ শতাংশ ছিলেন আন্তর্জাতিক কর্মী, যারা মহামারির আগে দুই বছর মেয়াদী ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা ভিসায় এসেছিলেন। হেমন্তে সাধারণত মৌসুমী কর্মীদের আবেদনের বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু মহামারি লোকজনের ওয়ার্কিং ভিসা প্রাপ্তি কঠিন করে তুলেছে। রিসোর্টে বর্তমানে কর্মী রয়েছে প্রয়োজনের মাত্র ৪৫ শতাংশ এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে হসপিটালিটির মতো অপ্রধান সেবা ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হবে।

বিগ হোয়াইট ভিলেজের তিনটি মুনি সাপ্লাই গ্রুপ রেস্টেুরেন্টের একটিতে এরই মধ্যে বারটেন্ডারের সুযোগ পেয়ে এরই মধ্যে ভিসার আবেদন করেছেন আয়ারল্যান্ডের লিলি মিনাহ। ২০ নভেম্বর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় তার ফ্লাইটের আগেই ইমিগ্রেশন কানাডার কাছ থেকে এ ব্যাপারে উত্তর পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

লিলি মিনাহকে চাকরি প্রস্তাবটি দিয়েছেন আনা মুনি। তিনি বলেন, তাদের কর্মীদের ৬০ শতাংশ সাধারণত ভিসাধারী। আসন্ন মৌসুমে তার রেস্তোরাঁ ৫০ জন কর্মীর ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে। ভিসা প্রক্রিয়াকরণে দীর্ঘসূত্রতার কারণে তিনজন কর্মী এরই মধ্যে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বালিঙ্গল বলেন, সামান্য সংখ্যক ভিসা প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। অন্যদিকে গত বছর যারা কাজের অনুমতি পেয়েছিলেন তার মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে, যা কর্মী ও রিসোর্ট উভয়কেই বিড়ম্বনায় ফেলে দিচ্ছে। গত বছর যখন মহামারি শুরু হয় তখন বিপুল সংখ্যক আন্তর্জাতিক কর্মীর ভিসার মেয়াদ ছিল এবং তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারতেন। এ বছর অধিকাংশের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে। তাই তাদেরকে যাতে ভিসা ফেরত দেওয়া হয় সেজন্য সরকারের সঙ্গে আমরা দর কষাকষি করছি। কারণ, আমরা সবাই একই নৌকার যাত্রী।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles