10.1 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

রক্ত দিয়ে লেখা : ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকতো’

রক্ত দিয়ে লেখা : ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকতো’ - the Bengali Times
ছবি সংগ্রহ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ঘটেছে বলে ধারণা করছে পরিবারের লোকজন, প্রতিবেশী ও পুলিশ। লাশ উদ্ধার হওয়া বসতঘরের দেয়ালে দেখা যায় রক্ত দিয়ে লেখা কিছু কথা। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকতো, এই সবকিছুর জন্য সুমীর বাবা দায়ী’।

শনিবার সকালে দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের বাড়ি থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

- Advertisement -

এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের মা জামেলা বেগম (৫৫), স্ত্রী সুমী আক্তার (২৫) ও কালিহাতীর সাতুটিয়া গ্রামের ভাঙারি ব্যবসায়ী শাহজালাল (২৮)।

প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের ভাইয়ের স্ত্রী শাহনাজ বলেন, আমার শাশুড়ি সকালে নামাজ পড়ার পর হাঁটতে বের হন। আজ অনেক বেলা হয়ে গেলেও তার ও সুমীদের খোঁজ নিতে যাই। ঘরের মূল দরজায় তালাবন্ধ থাকায় বাইর থেকে তাদের অনেক ডাকাডাকি করলেও কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে সাড়ে সাতটার দিকে অন্যদের খবর দেই। পরে অন্যরা শাবল এনে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আর শিশুটিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে চাকু ও ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

জমিলা বেগমের ভাই মোখলেছ বলেন, শাহজালালের সঙ্গে সুমী এক বছর আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে ভাগনে তার শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে কয়েক মাস আগে সুমীকে ফিরিয়ে এনে আবার ঘরসংসার করে তিনি আগে সৌদি চলে গেছেন।

প্রতিবেশীরা বলেন, জয়েন বিদেশ চলে যাওয়ার পরেও সুমীর সঙ্গে শাহজালালের যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব ছিল। সেই যোগাযোগ থেকে রাতের কোনো এক সময় হয়তো শাহজালাল সুমীদের ঘরে প্রবেশ করে থাকতে পারে।

এদিকে দিগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বলেন, শাহজালালের সঙ্গে সুমীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমী পালিয়ে গিয়েছিল। শুনেছি তারা বিয়েও করেছিল। পরে সুমীর স্বামী বিদেশ থেকে ফিরে আবার তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল।

তিনি আরও বলেন, সুমী ও শাহজালালের বিষয়টি নিয়ে আগে একাধিকবার সালিস হয়েছে। সম্পর্কের ফাটল থেকেই এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, উপজেলার কাশতলা এলাকার একটি বাসায় তিনজনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। শাশুড়ি জমেলা বেগম, ছেলের বউ সুমী ও শাহজালাল নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা র‌্যাব টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত সম্পর্কের দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তবে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা সেই বিষয়গুলোও মাথায় রেখে ছায়া তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুত সময়ে ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles