6.3 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে বাংলাদেশের ১৪৩ রান দরকার

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে বাংলাদেশের ১৪৩ রান দরকার - the Bengali Times

১৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে ‘অবসর’ নিলেন কাইরন পোলার্ড। ১৬ বল খেলে তখন তিনি করেছেন ৮ রান। একেবারেই নিজের মধ্যে ছিলেন না পোলার্ড। বাংলাদেশি বোলারদের বলে ‘ব্যাটে-বলে’ করতে না পারার ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণেই কি ‘অবসর’ নিলেন পোলার্ড, নাকি অন্য কোনো কারণে বোঝা গেল না। তবে পোলার্ডের ব্যাটিংই আজ শারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ের বিজ্ঞাপন।

- Advertisement -

সুপার টুয়েলভে দুই ম্যাচ হারা দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে আজ আগে বোলিং করে বাংলাদেশ বল হাতে আধিপত্য করেছে গেইল-পোলার্ড-রাসেলদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। নিকোলাস পুরানের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার পরেও মেহেদী-মোস্তাফিজ-শরীফুল-তাসকিনদের বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রানে থামিয়েছে মাহমুদউল্লাহরা। সংগ্রহটা আর কম হতে পারত। কিন্তু ক্যাচ মিস আর বাজে ফিল্ডিংটা শেষ পর্যন্ত বিপাকে ফেলতে পারে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের শরীরী-ভাষাতে আজ অন্যরকম কিছু একটা ছিল। টসে জিতে বোলিং নিয়ে উইকেটের ধীর গতিকে খুব ভালোই কাজে লাগিয়েছেন বোলাররা। এভিন লুইস আর ক্রিস গেইলের ওপেনিং জুটির বিপক্ষে মেহেদী, তাসকিন আর মোস্তাফিজের প্রথম তিন ওভার থেকে আসে ১২ রান। লুইসের উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ শুরুতেই। তাঁর বলে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমকে ইনার সার্কেলেই ক্যাচ দেন লুইস। মেহেদী অফ স্পিনে বোল্ড করে ফেরান ফর্মহীন ক্রিস গেইলকে। পাওয়ার প্লে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলতে পেরেছে মাত্র ২৯ রান। স্কোরবোর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ যখন ৩২ তখন মেহেদীর বলেই লং অনে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেন শিমরন হেটমায়ার।

আরও পড়ুন : সাকিবের স্ত্রী শিশিরকে কড়া জবাব দিলেন মাশরাফির ভাই

দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চেজ আর পোলার্ডের জুটিতে রানই আসেনি। বাংলাদেশি বোলারদের বল তাঁরা খেলতেই পারছিলেন না। সংগ্রামের একপর্যায়ে নিজেই নিজেকে তুলে নেন পোলার্ড। শারজার দর্শকেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাঠে নেমে কোনো বল না খেলেই দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন আন্দ্রে রাসে। তাসকিনের বলে তাঁর পায়ে লেগেই নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে গেলে রাসেলকে ফিরতে হয় মাথা নিচু করেই।

বাংলাদেশের বোলিং আজ ভালো হয়েছে। তবে ফিল্ডাররা তাদের ঠিকমতো সহায়তা দিতে পারেননি। তিনটি ক্যাচ পড়েছে। এর মধ্যে মেহেদীর কথা আগেই বলা হয়েছে। তিনি নিজের বলে রোস্টন চেজের ক্যাচ ফেলার পর চেজের ক্যাচই আবার ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে ফেলেন সাকিব আল হাসানের বলে। মেহেদী ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। শরীফুল ২ উইকেট নিয়েছেন ২০ রান দিয়ে। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেছেন এই তরুণ বাঁ হাকি পেসার। তাসকিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৭। তবে কিছুটা খরচে ছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৮। মোস্তাফিজ ছিলেন আরও খরুচে। ৪ ওভারে ২ উইকেট পেলেও তিনি রান দিয়েছেন ৪০।

রোস্টন চেজের ক্যাচ নিজের বলেই ফেলেছিলেন মেহেদী। মেহেদী চেজকে আবারও ফেলেছেন সাকিব আল হাসানের বলে। রোস্টন চেজ আর নিকোলাস পুরান শেষ পর্যন্ত শেষ দিকে ৩৩ বলে ৫৭ রানের একটা জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহটাকে চ্যালেঞ্জিং জায়গায় নিয়ে যান। পুরান ২২ বলে ৪০ রান করে পোলার্ড-গেইলদের ব্যর্থতায় ভালোই প্রলেপ দিয়েছেন। পোলার্ড পরে নেমেছিলেন। বিশ্রাম নিয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ১৪ করে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংসের শেষ করেছেন তিনি মোস্তাফিজের বলে ছক্কা মেরেই। জেসন হোল্ডারের ছোট্ট ঝোড়ে ইনিংসটার কথাও বলতে হয় ৫ বলে ১৫ রান করেছেন তিনি। শুরুতে ব্যাট হাতে ক্যারিবীয়দের সংগ্রামের পরেও পুরান-হোল্ডার-চেজদের ব্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহটা বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছেই।

সূত্র : প্রথম আলো

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles