13 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

রমজান মাস ছাড়াও আর কী কী রোজা রাখা যায়?

রমজান মাস ছাড়াও আর কী কী রোজা রাখা যায়?

পবিত্র রমজান মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও মুমিন-মুসলমানরা সারা বছরই রমজানে কৃত আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। রমজানের রোজা শেষ হলেও অবশিষ্ট মাসগুলোতে বহু নফল রোজা রয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী সেসব রোজা রাখার চেষ্টা করা। যেমন-

- Advertisement -

শাওয়াল মাসের ছয় রোজা
হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখল। অতঃপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।’ সহিহ মুসলিম : ১১৬৪

আইয়ামে বিজের রোজা
প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তিন দিনের রোজাকে (আইয়ামে বিজের রোজা) বলে। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা এবং রমজান মাসের রোজা সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য।’ সহিহ মুসলিম : ১১৬২

আর এ রোজা প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখা উত্তম। পরিভাষায় এ দিনগুলো ‘আইয়ামে বিজ’ নামে পরিচিত। ‘বিজ’ আরবি শব্দ, অর্থ সাদা, উজ্জ্বল। প্রত্যেক চান্দ্রমাসের এ দিনগুলোতে যেহেতু চাঁদের আলো পূর্ণ উজ্জ্বল থাকে এজন্য এই তারিখগুলোকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়।

প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার রোজা রাখা
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, আমার আমল পেশ হোক এমতাবস্থায় যে, আমি তখন রোজাদার।’ জামে তিরমিজি : ৭৪৭

আরাফার দিনের রোজা
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করি যে, (এর দ্বারা) বিগত বছরের এবং পরবর্তী বছরের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ সহিহ মুসলিম : ১১৬২

আশুরার রোজা
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘আশুরার রোজা সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এর দ্বারা তিনি বিগত বছরের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ সহিহ মুসলিম : ১১৬২

শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা
শাবান মাসে অধিক পরিমাণে রোজা রাখা উত্তম। হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাস ছাড়া বছরের অন্য কোনো মাসে এত অধিক (নফল) রোজা রাখতেন না। সহিহ মুসলিম : ৭৮২

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles