মাদক মামলায় গ্রেপ্তার শাহরুখপুত্রের বারবার জামিন নাকচ করে দিচ্ছে। আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত দুজনের জামিন হয়েছে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর)। কিন্তু জামিন হয়নি আরিয়ানের। জামিনকৃতদের কাছে গ্রেপ্তারের সময় মাদক পাওয়া গেলেও আরিয়ানের কাছে কিছু্ই মেলেনি। এর পরও তাকে আটকে রাখা নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার (এনসিবি) তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে সমীরের চাকরি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্রের এই নেতার দাবি, আরিয়ানকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। আর এই কাণ্ডের পেছনে সমীরের হাত আছে বলেও শক্ত দাবি তার। তবে শুধু আরিয়ান কাণ্ডে নয়, সমীরের বিরেুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে এই নেতার।
তিনি বলেন, এই খেলা শুরু হয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর মামলাকে ঘিরে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ছিল। হাইকোর্টও রিয়াকে বেকসুর খালাস করেছেন। তার পরই হঠাৎ করে দেখা গেল, বলিউডের বেশ কয়েকজনকে এ বিষয়ে ডাকা হলো। সেই তালিকায় ছিলেন ২৫ জন। কিন্তু কেন তাদের ডাকা হলো তার কোনো চার্জশিটও ছিল না।
তিনি আরো বলেন, এনসিবি এগুলোকে খোলা মামলা হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তাদের ইচ্ছামতো তলব করেছে। মাদকাসক্তদের রিহ্যাবে পাঠানো উচিত। যদি কেউ মাদক নিয়েই থাকেন, তাহলে তার পরীক্ষা করানো হোক। প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু এনসিবি এ ধরনের কাজ করে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
তবে এই নেতার জামাইও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে এনসিবি কর্তা ওয়াংখেড়েই সেই মামলার তদন্ত করছিলেন। তাই আরিয়ান কাণ্ডের সূত্র ধরে সমীরের ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নবাব মালিক বলেন, এটা ব্যক্তিগত লড়াই নয়।
আন্ত রাজ্য এবং আন্তর্জাতিক মাদক চক্রকে ধরাই এনসিবির কাজ। সামান্য পরিমাণ মাদকসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখা পুলিশের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। এনসিবি গত ৩৫ বছরে এ ধরনের কাজ করেনি।