18.3 C
Toronto
শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ

শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ

সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ শহীদ মিনারে এসে পৌঁছায়।

- Advertisement -

দুপুর একটা পর্যন্ত শহীদ মিনারে এসে সর্বসাধারণ তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন। শহীদ মিনারে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবেও সম্মান জানানো হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া বলেন, ‘শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। পরে জুমার নামাজের পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’

রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে গত মঙ্গলবার রাতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। ক্ষণজন্মা মানুষটির বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। আগেই থেকেই ভুগতে থাকা কিডনি জটিলতার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। তার মরদেহ এখন রাখা আছে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।

পেশায় চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন, অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা, গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করে গেছেন। জাতীয় ওষুধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।

সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য সেই ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles