9.2 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

কর্মী সংখ্যা বাড়াতে নার্স নিয়োগ নিয়ে কাজ করছে সরকার

কর্মী সংখ্যা বাড়াতে নার্স নিয়োগ নিয়ে কাজ করছে সরকার
নুনাভাট

বন্ধ হতে যাওয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর কর্মী সংখ্যা বাড়াতে নার্স নিয়োগ নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান নুনাভাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লরনে কুসুগাক। তিনি বলেন, কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রই যাতে বন্ধ না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেগুলো যদি বন্ধ হয়েই যায় তাহলে প্যারামেডিকরা রোগীদের সেবা দেবেন। ভার্চুয়াল সেবার সুযোগও থাকছে। কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে নামমাত্র কর্মী নিয়ে এখনও খোলা আছে এবং পরিস্থিতি নাজুক।

চলমান নার্স সংকটে সবচেয়ে বিপত্তিতে আছে কানাডার উত্তরের কমিউনিটিগুলো। এ অবস্থায় কর্মী না পাওয়া গেলে নার্স পরিচালিত আটটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধও হয়ে যেতে পারে। নুনাভাটের বাফিন আইল্যান্ডের একটি কমিউনিটি ক্লাইড রিভার। কমিউনিটিটির জনসংখ্যা এক হাজারের কিছু বেশি। জরুরি কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে এখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ হতে যাচ্ছে।

- Advertisement -

হ্যামলেটের জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্লাইড রিভারের সাবেক মেয়র জেরি নাটানাইন। যারা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির ওপর নির্ভরশীল তাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সাধারণত তিন থেকে চারজন নার্স দিয়ে চলে। কিন্তু বন্ধের সময় নার্সের সংখ্যা নেমে এসেছে এক থেকে দুই জনে।

দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে তিনি বলেন, সময়তো সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সব অধিকার আমাদের রয়েছে। বন্ধের মধ্যে আমাদের সঙ্গে যা ঘটতে পারে তা চিন্তা করাটা ভয়াবহ।

নুনাভাটের ২৫টি ফ্লাই-ইন কমিউনিটির প্রত্যেকটিতে নার্স পরিচালিত একটি করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তবে এর ৪০ হাজার মানুষের জন্য একমাত্র হাসপাতালটি অবস্থিত ইকালুইটে। নাটানাইন বলেন, ক্লাইড রিভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকা আগেও দেখেছে। তবে এতো দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কথা আমার মনে পড়ছে না।

কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে তাকে অন্য কমিউনিটি অথবা অবস্থা খারাপ হলে অন্য প্রদেশে নেওয়ার চিন্তাও নাটাইনকে ভাবাচ্ছে। দুই মাস ধরে নুনাভাটে কোনো কোভিড রোগী নেই। তবে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে মানুষের মারা যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান নাটানাইন।

হাডসন বের সানিকিলুয়াক কমিউনিটিটির স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুন। জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব না হলে এটিও আগস্টের শেষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মেয়র জনি কুকি এ প্রসঙ্গে বলেন, নার্সের ঘাটতি নিয়ে চলাটা কঠিন। আবাসনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত নতুন ভবনে নার্সদের থাকার সুযোগ নেই। ফলে নার্সরা কমিউনিটির পুরনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছেন। কোনো রোগীর কাছ থেকে ডাক পড়লেই কেবল তারা নতুন ভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করছেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles