1.5 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

বাড়িতে বসে কাজ করা কর্মীদের কাজ চুরি বন্ধে ইলেক্ট্রনিক ট্র্যাকিং

বাড়িতে বসে কাজ করা কর্মীদের কাজ চুরি বন্ধে ইলেক্ট্রনিক ট্র্যাকিং
ইউনিভার্সিটি অব গুয়েল্ফের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিতা শিনজার

বাড়িতে বসে কাজ করা কমূীদের সময় চুরির প্রমাণ হিসেবে নিয়োগদাতারা ইলেক্ট্রনিক ট্র্যাকিং ও মনিটরিং ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সময় চুরি শব্দ যুগলটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো কর্মী যখন কাজ না করলেও কাজ করছেন বলে দাবি করেন তখন তাকে সময় চুরি বলা হয়ে থাকে।

তবে এটা যে কেবল দূর থেকে কাজ করা কর্মীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তেমন নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অফিসের বাইরে থাকা অবস্থায় কেউ একজন সহকর্মীকে লগইন করতে বললেন। এই সময়টাতে ওই কর্মী কর্মস্থলে আছে বলে দাবি করলেও আদতে তিনি রয়েছেন অন্য কোথাও। কিন্তু দূর থেকে কাজ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় কোম্পানির কর্মীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ঘটনা বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

- Advertisement -

জানুয়ারির গোড়ার দিকে সময় চুরি প্রমাণিত হওয়ার পর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এক হিসাবরক্ষককে দেড় হাজার ডলার ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল তার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ এই ক্ষেত্রে ওই কর্মী কোম্পানির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে মামলা করেছিলেন। কোম্পানিও পাল্টা মামলা করে, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, কর্মীর টাইমশীটে ৫০ ঘণ্টা বেশি দেখানো হয়েছে।

সিভিল রেজ্যুলুশন ট্রাইব্যুনাল তাদের সিদ্ধান্তে জানায়, নিয়োগের ক্ষেত্রে সময় চুরি খুবই গুরুতর অসদাচরণ। ১১ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত জানায় ট্রাইব্যুনাল। তাতে বলা হয়, কর্ম সম্পর্ক বিশেষ করে দূরে বসে কাজের ক্ষেত্রে বিশ^াস ও সততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেখানে সরাসরি তদারকি থাকে না। কর্মীর অসদাচরণ নিয়োগদাতার সঙ্গে তার সম্পর্কের অপূরণীয় লঙ্ঘন এবং এই পরিবেশে তার চাকরিচ্যুত যৌক্তিক।

ইউনিভার্সিটি অব গুয়েল্ফের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিতা শিনজার বলেন, মামলাটি অন্যরকম নজির সৃষ্টি করেছে, যেখানে একজন কর্মীর পারফরমেন্স কেবলমাত্র দৈনিক তার আট ঘণ্টা কাজ করার সামর্থ্যরে ওপর ভিত্তি করে। সময় চুরির ব্যাপারে এবারই আমরা প্রথম শুনছি না। কিন্তু কোম্পানির তরফ থেকে সময় চুরির প্রমাণ হাজির করার ঘটনা এবারই প্রথম। কারণ, কখন কর্মী কাজ করছেন এবং কখন করছেন না তা নিরূপণে তারা ইলেক্ট্রনিক মনিটরিং ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে। কর্মী কেমন কাজ করছে তা কেবল তার কর্মঘণ্টা দিয়ে বিচারের পুরোনো সেই পদ্ধতি এটা।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles