বাবাকে না জানিয়ে কিছুদিনের জন্য বাইরে ঘুরতে যাওয়ার অপরাধে নিজের মেয়েকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাবা ও মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। খবর এনডিটিভির।
সোমবার (২১ নভেম্বর) উত্তরপ্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মথুরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে একটি স্যুটকেসের ভেতরে ২২ বছর বয়সি দিল্লির এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে তার বাবা হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।
মথুরা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট জানিয়েছেন, নিহত আয়ুশি চৌধুরীর বাবা-মাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আয়ুশি দিল্লিতে কম্পিউটার এপ্লিকিশনে স্নাতকে পড়ছিলেন।
সূত্র জানায়, আয়ুশির বাবা নীতেশ যাদব মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেন। আয়ুশি বাবাকে কিছু না জানিয়ে ‘কিছুদিনের জন্য বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন’ এতে তার বাবা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। এছাড়া মেয়ে অন্য বর্ণের এক পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন এবং প্রায়ই গভীর রাত পর্যন্ত বাইরে থাকতেন।
পুলিশ স্যুটকেস উদ্ধার করার পর সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং নারীকে শনাক্ত করতে দিল্লিতে পোস্টার লাগায়। রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে একটি অজানা কল থেকে তার সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়। পরে তার মা ও ভাই তাকে ছবির মাধ্যমে শনাক্ত করে।
মৃতদেহ শনাক্ত করতে গেলে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দিল্লির বদরপুরে বসবাসকারী বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, আয়ুশি পরিবারকে না জানিয়ে ছত্রপল নামে অন্য বর্ণের একজনকে বিয়ে করেন।
এ ঘটনায় তার বাবা-মা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আয়ুশিকে লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে গুলি করার পর নীতেশ যাদব তার স্ত্রীর সহযোগিতায় দেহটি একটি স্যুটকেসে প্যাক করে মথুরায় ফেলে দেন।
গত শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) মথুরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে একটি বড় লাল স্যুটকেসে প্লাস্টিকে মোড়ানো আয়ুশির মরদেহ পাওয়া যায়। আয়ুশির মুখ ও মাথায় রক্ত এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।