মহামারির বিরুদ্ধে কানাডার ১৯ মাসের লড়াইয়ে এই মুহূর্তে প্রধান শত্রু অতিমাত্রায় সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ভাইরাসের এই ধরনটি অধিক সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করে তাদেরকে হাসপাতালে ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অবশ্য এরই মধ্যে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরেক ডোজ আশার বাণী শোনালেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম। শুক্রবার তিনি বলেন, সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাস্কেচুয়ান ও আলবার্টায় জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।
ডা. ট্যাম বলছেন, অধিক সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন নিতে শুরু করায় এবং সংক্রমণের গতি হ্রাসে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপের ফলে দেশব্যাপী সংক্রমণ কমে আসতে শুরু করেছে। জুলাইয়ের পর প্রথমবারের মতো সংক্রমণে উর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কার্ভটা কেবল নিচের দিকে নামছে।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয়ভাবে কানাডার উন্নতি হলেও নিজেদের চ্যালেঞ্জের মধ্যেই ডুবে আছে প্রদেশগুলো। পাবলিক হেলথ এজেন্সির উপাত্ত বলছে, যথেষ্ট সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন না দিয়েই যেসব প্রদেশ মাস্ক পরিধান ও জমায়েতের বিধি দ্রতি বাতিল করেছে তারাই সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। ওসব প্রদেশের মধ্যে আলবার্টার পর সাস্কেচুয়ানে সক্রিয় কোভিড রোগী সবচেয়ে বেশি ছিল। উভয় প্রদেশের কর্মকর্তারাই ভ্যাকসিনের বাইরে থাকা ব্যক্তিরা যাতে এর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে সেজন্য ভ্যাকসিন পাসপোর্ট কর্মসূচিত চালুসহ কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
যেভাবে অধিক সংখ্যক কানাডিয়ান ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তা আশাবাদী করে তুলছে ডা. ট্যামকে। তারপরও প্রদেশগুলোর প্রতি তার বার্তাটা খুব পরিস্কারÑএই অবস্থায় এসে আপনি কেবল ভ্যাকসিনেশনের ওপর নির্ভর করতে পারবেন না।
ডা. তেরেসা ট্যাম যখন এই মন্তব্য করেন তখন পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা নতুন মডেলিং প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে সমগ্র কানাডায় নতুন দৈনিক কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৩ হাজার ৭০০। আগের প্রাক্কলনের চেয়ে এটা অনেক ভালো অবস্থা। আগের প্রাক্কলনে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫০০তে পৌঁছাতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।