10.1 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

ঘরকা মুরগি ডাল বরাবর

ঘরকা মুরগি ডাল বরাবর

কয়েকটা জরুরি কাগজ খুঁজতে গিয়ে নানান বাকশোর নানান প্যাকেটের অজস্র খুচরো কাগজের সঙ্গে একটা ছড়া পাওয়া গেছে ক’দিন আগে। তারিখ বিহীন। সঙ্গের অন্যান্য কাগজ ও পেপার কাটিংসগুলোকে অনুসরণ করে এইটা নিশ্চিত হয়েছি যে এই ছড়াটার রচনাসাল মধ্য নব্বুই পরবর্তী কোনো সাল। সম্ভবত ১৯৯৭/৯৮। অর্থাৎ প্রায় পঁচিশ বছর আগের ছড়া এটা। লেখক-কবি-অংকনশিল্পী–সঙ্গীতশিল্পী-সাংবাদিক-অভিনেতা এক কথায় সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পুঙ্গবেরা এই ছড়াটার সাবজেক্ট। মানহানীর অভিযোগ থেকে বাঁচতে আগেভাগে একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি–এই ছড়ার সহিত দৈবাৎ কাহারো কোনো পরিস্থিতি মিলিয়া গেলে তাহা নিতান্তই একটি কাকতালীয় ঘটনা বলিয়া প্রতীয়মান হইবে। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্যে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহেন।
প্রিয় পাঠক, আসুন অপুষ্টিতে ভোগা স্বাস্থ্যহীন লিকলিকে ছড়াটা পড়ে ফেলি–

- Advertisement -

[ ঘরকা মুরগি ডাল বরাবর
লুৎফর রহমান রিটন

যতোই সূতা কাটুক চরকা
ডাল বরাবর মুরগি ঘরকা!
কেউকেটা হও যতোই ভাইরে
ঘরে তোমার মূল্য নাইরে!
পরিবারের মেম্বারবৃন্দে
একজোট হয়ে তোমায় নিন্দে!
কাছের লোকের আজিব কান্ডে
অপাঙ্‌ক্তেয় সানডে মানডে!
ভাই বোন সব্বাই করছে তুচ্ছ
তকলিফ দিচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ!
তোমার খ্যাতির খোঁজটাও নেয় না
দু’পয়সা দাম দেয় না দেয় না!
হও না যতোই কেষ্টু-বিষ্টু
লিস্টে লাস্টে অবশিষ্টু!
সব এক্সামেই ফেল্টু ছাত্র
উপহাসের প্রধান পাত্র!
মান্যতা পাও ঘরের বাইরে
ঘরের মধ্যে পাও না ঠাঁই রে!
অবহেলায় দিবস রাত্রি
শুন্য জাহাজ একলা যাত্রী!
অসম্মানকে মানতে মানতে
ঘুমাতে যাও কানতে কানতে!
বাইরে পাচ্ছো গোলাপ ফুলটা
ঘরে অপমানের হুলটা…!
শিল্পী লেখক সাংবাদিকরা–
সবাই পড়ো ইকরা ইকরা…
এই ছড়াটার তুমিই লক্ষ্য
বাদ বাকি সব উপলক্ষ্য।
গায় মেখো না কুটিল নিন্দা
ক্যান্‌ খামোখা হও শরমিন্দা!
ক্ষমো মূর্খের ঈর্ষা-ভ্রান্তি
ওম্‌ শান্তি ওম্‌ শান্তি শান্তি…
[রচনাকাল/১৯৯৭/৯৮]
অটোয়া ০৮ নভেম্বর ২০২২
[ক্যারিকেচার: সুজন চৌধুরী]

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles