7.3 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

ফের রাজনীতিতে সক্রিয় সম্রাট-খালেদ!

ফের রাজনীতিতে সক্রিয় সম্রাট-খালেদ!

দীর্ঘ বিরতির পর প্রকাশ্যে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হচ্ছেন ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

- Advertisement -

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে নিজেদের জানান দেবেন। শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অন্তত ১ লাখ নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত থাকবেন তারা।

প্রকাশ্যে ফের রাজনৈতিক দাপটের জানান দিতে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন এই দুই নেতা। নিজেদের অনুসারীদের আলাদা উপস্থিতি জানান দিতে তারা লাল টি-শার্ট পরবেন। আওয়ামী লীগের দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশেই তারা মহাসমাবেশ সফলে ভূমিকা রাখার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট বলেছিলেন, ‘দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করার কোনো খবর আমি জানি না।’

সম্রাটের ঘনিষ্ঠ এক রাজনৈতিক নেতা জানান, যুব সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আলোচিত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া বিশাল শোডাউনের সব প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফেস্টুন টানিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে কর্মী-সমর্থক ও যুবলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের আবারও সক্রিয় করতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন সম্রাট। এরই মধ্যে এক লাখ লাল গেঞ্জি ও যুবলীগের দলীয় পতাকা নিজেদের অনুসারীদের মধ্যে বিতরণ করেছেন তারা। সকাল ১০টায় যুগলীগের লোগো সংবলিত লাল গেঞ্জি পরে সম্রাট ও খালেদের অনুসারীরা মন্দির গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকে নির্ধারিত জায়গায় অবস্থান নেবেন। গত সোম ও মঙ্গলবার সম্রাট ও খালেদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে তাদের বসার জায়গাও ঠিক করে আসেন।

সম্রাটের ঘনিষ্ঠ একজন সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিশ্চিত করেছেন, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েই আলোচিত যুবলীগ নেতা সম্রাট ও খালেদ সমাবেশে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ফের রাজনীতিতে প্রকাশ্যে সক্রিয় হচ্ছেন।

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যা ব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৩ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান সম্রাট।

অপরদিকে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদকে আটকের পর ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। পর দিন ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে গুলশান থানায় তিনটি এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করে র্যা ব। এছাড়া খালেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সম্রাটের মুক্তির আট দিন পর যুবলীগের একই শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদও গত ১ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান।

সুত্র : যুগান্তর

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles