9.2 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

আসামির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অডিও ফাঁস, এসআই ক্লোজড

আসামির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অডিও ফাঁস, এসআই ক্লোজড

আসামির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একটি অডিও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আরএমপি রাজপাড়া থানার ওয়ারিশ নামের এক এসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম।

তিনি বলেন, অডিওটি আমরা শুনেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিওতে রাজপাড়া থানার এসআই ওয়ারিশ বলেন, ‘ওসি স্যারের জন্য একটা বাজেট কইরো। ওসি স্যারকে দিতে হবে, না হলে সমস্যা হবে।’

উল্লেখিত, গত ৩ নভেম্বর রফি নামের এক আসামিকে ব্যক্তিগত নম্বর থেকে ফোন দেন এসআই ওয়ারিশ। তখন তিনি বলেন, কিছু খরচ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। ওইদিন তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নেন তিনি। পরে আরো তিন হাজার টাকার জন্য ফোন দিয়ে একটি বিকাশ এজেন্ট নম্বরে টাকা নেয়। একই মামলার ৩ নম্বর আসামির কাছ থেকে দুই দফায় বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা নেন ওয়ারিশ।

৭ নভেম্বর মঙ্গলবার আসামি রফি আদালত থেকে জামিন নিয়ে রাজপাড়া থানার ডিউটি অফিসারের কাছে সন্ধ্যায় জামিনের রিকল জমা দেন। বিষয়টি এসআই ওয়ারিশ জানতে পারলে রফিককে ফোন দিয়ে রিকল ডিউটি অফিসারকে দেওয়ার জন্য গালাগালি করে। রিকলটি তার হাতে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। পরে সন্ধ্যায় মামলার ৩ নম্বর আসামি কাঁচার মুঠোফোনে ফের কল দিয়ে ঘুষ দাবি করেন এসআই ওয়ারিশ। জামিন নেওয়ার কারণে ঘুসের টাকা দিতে অস্বীকার করেন কাঁচা।

নাম প্রকাশ না করে আসামিদের একজন বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে আমাদের কাছে টাকা দাবি করেন তিনি। এর আগে ৮ হাজার টাকা দিয়েছি মামলা হওয়ার পরে। তার পরেও দিন-রাত নেই সব সময় ফোন দিয়ে টাকা চায়। মামলার পর থেকে এসআই ওয়ারিশের অত্যাচার ও ঘুষ দাবি করায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি।

তিনি আরো বলেন, জমিনে মুক্ত হয়ে রিকল থানায় জামা দেয়ার পরেও আবার টাকা দাবি করে তিনি। ওসি স্যারের জন্য বাজেট করতে বলেন।

এর আগেও এসআই ওয়ারিশ মতিহার থানায় ও বেলপুকুর থানায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য, মানুষকে আটক করে হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয় এসআই ওয়ারিশ জানান, অপরাধ স্বীকার করে বলেন, যে টাকা হোক আমি অপরাধী। কারো সঙ্গে মনোমালিন্য হলে এ ধরনের অদ্ভুত কথা ছড়িয়ে দেয়। আমি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তারা জামিন নিয়ে যাবার দিন রিকল দিয়ে যেতে বলে ছিলাম। তারা আমাকে অনেক সময় দাঁড়িয়ে রেখেছিলেন। আমি মন খারাপ করে তাদের একটু গালি দিয়েছিলাম।

তিনি জানান, আমাকে হেয়পতিপন্ন করতে অডিওটি ছড়ানো হয়েছে। এটি মিথ্যা অডিও। দরকার পড়লে আমি তাদের আপনাদের সঙ্গে মিট করিয়ে দিতে পারি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles