11.2 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

চমৎকার আনন্দ সন্ধ্যা

চমৎকার আনন্দ সন্ধ্যা
লবঙ্গ রেস্টুরেন্টের পার্টি হলে আয়োজিত হলো এক চমৎকার আনন্দ সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়

জসিম মল্লিক টরন্টোবাসী লেখক, আমার প্রিয়জন,তার বাংলাএকাডেমি সাহিত্য পুরস্কার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ২০২২ প্রাপ্তিতে গত রোববার লবঙ্গ রেস্টুরেন্টের পার্টি হলে আয়োজিত হলো এক চমৎকার আনন্দ সন্ধ্যা। টরন্টো শহরে বাংলাদেশী যারা নিজ-নিজ মাধ্যমে সুনাম করেছেন, সবার পরিচিত ব্যক্তিত্ব তারা প্রায় হাজির ছিলেন এবং জসিমকে শুভেচ্ছা বক্তব্য উঠে এসে বলেছেন। টরন্টোর সুপরিচিত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ফারহানা শান্তা গান গেয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। সবার সংক্ষিপ্ত বিশেষন দিয়ে কী দারুণ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করলেন সাংবাদিক রাজৈতিক লেখক ও বিশ্লেষক সওগাদ আলী সাগর।

খুব অল্প সময়ে সম্ভবত মাত্র এক রাত আর অর্ধেক দিনে খাদ্য পানীয় সহ এমন জমজমাট আনন্দ সন্ধ্যা আয়োজন করা অসম্ভব! তবে তা সম্ভব হলো আমার প্রিয় দুই ম্যাজিকম্যান যখন একত্রিত আয়োজক! টরন্টোর জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এনআরবি- সিও এবং পত্রিকা বাংলা মেইল এর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টুকে আমার ম্যাজিকম্যানই মনে হয়। অল্প সময়ে কভিটের আগে প্রতি বছর টরন্টোর সুপার হিট ‘বাংলাদেশ ফেস্টভ্যাল’ নিজের ছোট্ট টিম নিয়ে বার-বার করিয়ে দেখিয়েছেন। তার জন্যে এক সন্ধ্যার অনুষ্ঠানতো ম্যাজিক স্টিক নিয়ে হাত নাড়লে অবলীলায় হয়ে যায়। অটোয়া থেকে আসা আমার আরেকজন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ছড়াকার এবং টিভি উপস্থাপক যিনি দেশে কত বড়-বড় অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রিয় লুৎফর রহমান রিটন।

- Advertisement -

যদি রিটন ও মিন্টু যুক্ত হন তাহলে জমজমাট অনুষ্ঠানতো হবেই! গন্যমান্য অতিথির মধ্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট বোন আমাদের প্রিয় সুসু আপাকে বেশ কয়েক বছর পর টরন্টোতে পেলাম। অটোয়া থেকে টরন্টো দুই কদম মাত্র ৪ ঘন্টার গাড়িপথ অথচ প্রিয় লুৎফর রহমান রিটন ও এলেন এইবার ৪ বছর পর। যে অনুষ্ঠানে রিটন জড়িত সেটি জমজমাট হয়নি এমন নজির নেই বল্লেই চলে। আমার স্ত্রী অন্যের প্রশংসায় খুব হিসাবী আমার পাতে তেমন কিছু না পড়লেও রিটনের ব্যাপারে কার্পণ্য নেই। বলেন – আরে রিটনতো নিজের সাথে হাসির সুনামী নিয়ে ঘোরে!

জসিম মল্লিকের পুরস্কার প্রাপ্তীর এই আনন্দ সন্ধ্যায় রিটনের দীর্ঘ কথন জানিনা কেউ রেকর্ড করেছে কিনা! হাসি মাখা হলেও কথা গুলো আমার কাছে খুবই গুরত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। শুধু যে জসিমের তরুণকাল ছাত্রকালের মজার ঘটনা ছিলো তা নয়! ছিলো জসিমের স্ত্রীর সাথে বিয়ের আগে ও পরে প্রেমের কথা,ছিলো জসিমের মাত্র ২বছরে স্বামীকে হারানো একাকী মা সন্তানদের মানুষ করার সংগ্রাম। জসিমের মাভক্তি নিয়ে চমৎকার লেখার কথা। রিটন নিজের দেখা জসিমের জীবন যাপন সঙ্গে কী দারুণ ভাবে উঠে এসেছে ৭০,৮০ ও ৯০ দশকের ঢাকার পত্রিকা কেন্দ্রিক সাহিত্য উথ্থান। আজকে বাংলাদেশের নামী কবি সাহিত্যিকদের স্বমহিমায় রূপ নেয়া। অন্য কেউ বল্লে কথা গুলো প্যাঁচ প্যাঁচালী মনে হতো হয়তো! তবে লুৎফর রহমান রিটন যখন বলেন নিজস্ব রস মাখিয়ে বলেন তখন শ্রোতারা ভুলে যান যে এই কথার পরতে-পরতে নক্সার মত আঁকা থাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ৩ দশকের সাহিত্যের চালচিত্র।

সাধারণ টরন্টোবাসী আমাদের সবাইকে দেশের বাংলা একাডেমির গুরত্বপূর্ণ সাহি্ত্য পুরস্কার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ২০২২ এনে দেয়ার জন্যে জসিম মল্লিক কে অভিবাদন। প্রবাসে সর্ব ক্ষেত্রে দলা-দলি এবং কোলা-কুলির এই দুইয়ের উর্ধে উঠে একজন লেখকের ব্যক্তিগত আনন্দাভূতিকে এমন এক আনন্দ সন্ধ্যায় রূপান্তরিত করায় লুৎফর রহমান রিটন ও শহিদুল ইসলাম মিন্টুর জন্যে ব্রাভো!

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles