দোকানে চুরি করতে তালা ভেঙে ঢোকে চোর। সব কিছু গুছিয়ে ব্যাগভর্তি করতে ভোর হয়ে যায়। চারদিকে তখন ভোরের আলো। একই সঙ্গে দোকানের সামনে লোকজনের আনাগোনাও বেড়ে যায়।
চুরি করে পালানোর সব সুযোগ প্রায় বন্ধ তখন। জনতার হাতে ধরা খেলে গণধোলাইয়ের শিকার হবেন―তাই বুদ্ধি করে চোর নিজেই ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সাহায্য চান।
পুলিশ এসে তাকে দোকান থেকে উদ্ধার করে। বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে ঘটে এমন ঘটনা।
বৃহস্পতিবার বন্দর থানার (সাহেবেরহাট) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার বিকেলে চুরি মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে আটক ইয়াছিন খাঁকে। ওই দিন ভোরে ইউনিয়নের এ আর খান বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ইয়াছিন খাঁ (৪১) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ছিলারিশ গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে পরিবার নিয়ে বরিশাল নগরের কালুশাহ সড়ক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
বাজারের ঝন্টু হাওলাদারের মুদি দোকানের ভেতর থেকে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আটককৃত ব্যক্তি বুধবার সকালে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বলেন, তিনি খুব বিপদে পড়ছেন। তাকে যেন দ্রুত পুলিশ এসে উদ্ধার করে। তাকে কনফারেন্সে রেখে ৯৯৯ থেকে বন্দর থানার (সাহেবেরহাট) ডিউটি কর্মকর্তাকে জানানো হয়। পুলিশ সদস্যরা গিয়ে দোকানের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের সময় দোকানের দামি মালামাল ব্যাগে ভর্তি করা ছিল। ’
তিনি আরো বলেন, পুলিশ সদস্যদের আটককৃত ব্যক্তি জানান, চুরির মালামাল গুছিয়ে ব্যাগ ভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগেছে। লোকজন দোকানের পাশে অবস্থান করছিল। এ কারণে তিনি বের হতে পারছিলেন না। তার জীবনের ঝুঁকি ছিল। তার এসব কথা শুনে উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা কিছুটা অবাক হয়েছেন। পরে তাকে একটি চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।