6.8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

টাকা পেয়ে দিলেন ভোট, পরে দেখেন ‘জাল’ নোট

টাকা পেয়ে দিলেন ভোট, পরে দেখেন ‘জাল’ নোট
সিরাগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী সুমন সরকার

জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক সদস্য পদপ্রার্থী ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে আগের রাতে কিছু ভোটারদের জাল টাকা দিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে অন্তত ৭ জন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

অভিযোগে জানা গেছে, ওই ভোটাররা রাতে টাকা নেওয়ার পর নিদিষ্ট প্রতীকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের ভোট দেন। পরে প্রার্থীর দেওয়া সেই টাকা নিয়ে কিছু কেনাকাটার জন্য বের হন ভোটাররা। তবে কেনাকাটা করতে গিয়ে দেখেন টাকাগুলো জাল। এরপর দ্রুত প্রার্থীকে জানালে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

- Advertisement -

রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ও পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের অন্তত সাত ইউপি সদস্য এমন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রতারণার বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা রকম মন্তব্য। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ভোট দিয়েই ভোটাররা ধরা খেলেন।

অভিযোগ আসা সেই প্রার্থী বর্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেইসঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

প্রতারণার স্বীকার ভোটাররা জানান, আগের রাতে তাদের ওই প্রার্থী নিজ হাতে ওই নোটের বান্ডিলগুলো বিতরণ করেছেন। আর বলেছেন এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ না করা হয়। খরচ করলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হবে। আর এতে তার ক্ষতি হবে। পরে সেই কথা অনুযায়ী ভোটের আগে টাকাগুলো খরচ না করে ভোট দেওয়ার পর স্থানীয় বাজারে গেলে দোকানদার টাকা দেখে বলেন এগুলো জাল নোট। এরপর টাকাগুলো নিয়ে প্রার্থীর কাছে গেলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে নানাভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, এ নির্বাচনকে ঘিরে গত দুয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি গিয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন করেছেন। কোনো কোনো প্রার্থী এ সব ভোটারদেরকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তবে সেগুলো জাল নোট কিনা তাদের জানা নেই।

এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি জাল নোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছে সেটা তার জানা নেই।

অভিযুক্ত জয়ী প্রার্থী সুমন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় তার প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেননি।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে আমরা এই বিষয়টিতে অবগত নই।’

রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, জাল নোট দিয়ে ভোট কেনাবেচার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles