1.6 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

দুধ দিয়ে গোসল করে কান ধরলেন যুবলীগ নেতা

দুধ দিয়ে গোসল করে কান ধরলেন যুবলীগ নেতা
ছবি সংগৃহীত

পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা। তার নাম সানোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কমিটিতে সভাপতির পদ না পাওয়ায় ক্ষোভে গতকাল রবিবার খাটিয়ারহাট বাজারে তিনি দুধ দিয়ে গোসল করেন। একই সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও দুধ দিয়ে ধোয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটিতে কাক্সিক্ষত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্ররাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মো. আরমিন আহমেদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

- Advertisement -

দুধ দিয়ে গোসল করার সময় সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের এই দুর্নীতিগ্রস্ত দল থেকে অব্যাহতি নিলাম। আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি বা দলের কোনো কার্যক্রমে, কোনো নেতার সঙ্গে থাকব না। আমি কান ধরে ওঠবস করছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো অনুষ্ঠানে যাব না। মরার আগে আমি আওয়ামী লীগের হয়ে মরতে চাই না।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সানোয়ার হোসেন আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। পারিবারিকভাবে তিনি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। গত শনিবার ছিল মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলন। এতে তিনজন সভাপতি পদে ও তিনজন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন। ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন ছিলেন সভাপতি প্রার্থী। পরে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের নেতারা একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এতে আজগানা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক করা হয় রোমান সরকারকে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় সুরুজ আলমকে। এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য হিসেবে এক নম্বরে রাখা হয় সানোয়ার হোসেনকে। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন।

উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ শিকদার বলেন, ‘শনিবার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের ত্যাগী নেতাদের পদ দেওয়া হয়। যারা সুবিধাবাদী, দলের নাম ব্যবহার করে চলে, কমিটিতে তাদের স্থান দেওয়া হয়নি। এতে পদবঞ্চিত হয়ে সানোয়ার হোসেন স্থানীয় বাজারে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন। তিনি মূলত ওই বাজারের একজন দোকানদার। তার দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিও ফেইসবুকের মাধ্যমে দেখেছি। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা আতিক সিকদার বলেন, ‘সানোয়ারের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। পারিবারিকভাবে তিনি যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘদিন পদ না পাওয়ায় তার মনে আক্ষেপ থেকে এ কাজ করেছেন।’

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘যুবলীগের কাউন্সিলে সানোয়ার একাই এসেছেন। সারাক্ষণ চুপচাপ থেকে দ্বিতীয় পর্বে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন তিনি। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা আলোচনার মাধ্যমে একটি কমিটি দিয়েছে। সেই কমিটিতে সানোয়ার একজন সদস্য। কারও উসকানিতে তিনি এ কাজ করতে পারেন।’

আজগানা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের সিকদার বলেন, ‘সানোয়ারের বাবা আবদুর রাজ্জাক একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। পারিবারিকভাবে সানোয়ার যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তার বিষয়ে যুবলীগের নেতাদের বিবেচনা করা উচিত ছিল।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles