5.4 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

সুইস ব্যাংকে প্রিন্স মুসার ১ টাকাও নেই: ডিবি

সুইস ব্যাংকে প্রিন্স মুসার ১ টাকাও নেই: ডিবি - the Bengali Times I Bengali Newspaper in Canada
সুইস ব্যাংকে ধনকুবের বলে পরিচিত মুসা বিন শমসের ৮২ মিলিয়ন ডলারসহ দেশে অনেক সম্পদ থাকার কথা দাবি করলেও তাকে অন্তঃসারশূন্য বলে মনে করছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান হারুন অর রশিদ। বিকেল ৩টা ২৫মিনিটে মিন্টো রোডে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে যান মুসা বিন শমসের। অতিরিক্ত সচিবের ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার আবদুল কাদের বিষয়ে তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানায় ডিবি।

- Advertisement -

জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, ‘মুসা নিজের অর্থ সম্পদ নিয়ে যা দাবি করছেন তা আসলে ফাঁকা বুলি। মুখরোচক গল্প বলতে পছন্দ তার। সুইস ব্যাংকে তার কোনো অর্থই নেই। প্রতারক কাদেরের সঙ্গে উল্টো বাটপারি করতে চেয়েছিলেন মুসা।’

এর আগে প্রতারণা করে অঢেল অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল কাদের চৌধুরী ওরফে কাদের মাঝির সঙ্গে সংশ্নিষ্টতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের স্ত্রী-পুত্র নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে মেরুন রঙের এফ প্রিমিও গাড়িতে করে তারা ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে তিনি ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন। পরে মুসা বিন শমসের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মুসা বিন শমসের ও তার স্ত্রী এবং ছেলেকে প্রতারক কাদেরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে মুসা দাবি করেছেন- তিনি কাদেরের প্রতারণার বিষয়ে কিছু জানেন না। আমরা তাকে বলেছি, একজন নাইন পাস লোককে আপনি না বুঝে কীভাবে নিয়োগ দিলেন, তার থেকে ১০ কোটি টাকা নিয়ে কীভাবে লাভসহ ২০ কোটি টাকার চেক দিলেন? কাদেরের সঙ্গে মুসার অনেক কথোপথনের তথ্য পাওয়া গেছে। কাদেরকে ‘বাবা’, ‘সোনা’ বলেও সম্বোধন করতেন মুসা।’

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মুসার কাছে বার বার জানতে চাওয়া হয়- কীভাবে দশম শ্রেণি পাস একজনকে তার আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ডাকা হতে পারে।’

এদিকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে মুসা বিন শমসের সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে একজন ব্যক্তি আমার অফিসে যান। আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময় ছবি তুলেছিলেন। মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে বসে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন লোকদের সঙ্গে কথা বলতেন। তাদের মধ্যে প্রশাসনের অনেকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে গল্প করতেন। তার কথা বিশ্বাস করেছিলাম। পরে নিশ্চিত হই- সে অতিরিক্ত সচিব নয়। ভুয়া অতিরিক্ত সচিব। এরপর তাকে অফিস থেকে বের করে দেই। আমিও তার প্রতারণার শিকার। তার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে আমার আর বলার কিছু নেই। আমার শরীর-স্বাস্থ্য এখন ভালো না।’

মুসা আরও বলেন, ‘ডিবি আমাকে কাদেরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমি যা যা জানি সবকিছু স্পষ্টভাবে বলেছি। আমার বক্ত্যব্যে পুলিশ সন্তুষ্ট। কাদের মিথ্যা কথা বলেছে। তিনি আমার আইন উপদেষ্টা ছিলেন না।’

সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসা থেকে কাদের নামে এক ভুয়া অতিরিক্ত সচিবকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ সময় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় কাদেরের প্রাডো গাড়ি। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- কাদেরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও সততা প্রোপার্টিজের চেয়ারম্যান শারমিন চৌধুরী ছোয়া, অফিস ম্যানেজার শহিদুল আলম ও অফিস সহায়ক আনিসুর রহমান।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles