6.8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

মেয়ের পড়ার খরচ চালাতে বাবার কিডনি বিক্রি, প্রেমের কারণে মেয়ের আত্মহত্যা

মেয়ের পড়ার খরচ চালাতে বাবার কিডনি বিক্রি, প্রেমের কারণে মেয়ের আত্মহত্যা
প্রতীকী ছবি

সন্তানের জন্য বাবা-মা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করেন। কিছু কিছু বাবা ছেলে-মেয়েদের জন্য নিজেদের সর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে দেন। কিন্তু সন্তানরা কি সবসময় সেই ত্যাগকে যথাযথ সম্মান দিতে পারে?

মেয়ের জন্য তেমনই এক চরম আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এক বাবা। কিন্তু সেই মেয়ে মূল্য চোকাতে পারেনি। প্রেম ও আত্মত্যাগের এই হৃদয়বিদারক কাহিনি পড়লে চোখে অশ্রু আসতে বাধ্য।

- Advertisement -

টুইটারে এই ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন আমান্ডা চিন্ডা নামক নাইজেরিয়ার এক নারী। তিনিই এই গল্প বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আমান্ডার দাবি, এক জন মেয়ের বাবার স্বপ্ন ছিল মেয়েকে প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত করে তোলা। অভাবের সংসার হলেও মেয়ের পড়াশোনায় কখনও কোনো বাধা আসতে দেননি। মেয়ে বড় হওয়ার সঙ্গে তার পড়াশোনার খরচও বাড়ে। এক সময়ে মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছিল বাবাকে। বাবাও নাছোড়বান্দা। ঠিক করেন মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে যা করতে হয় করবেন।

অনেক ভেবে ঠিক করেন, মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে নিজের কিডনি বিক্রি করে দেবেন তিনি। কিডনি বিক্রি করে তিনি যা টাকা পাবেন, তা তিনি রেখে দেবেন। এই টাকায় তাঁর মেয়ের সারা জীবনের পড়াশোনার খরচ চলে যাবে।

কিন্তু তিনি জানতেন না তাঁর পড়াশোনায় ভালো মেয়ের মনে সেই মুহূর্তে একজন প্রেমিক জায়গা করে নিয়েছে। প্রেমিকের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই চুটিয়ে প্রেম করছিলেন।

ইতোমধ্যে কিডনি বিক্রি করে মেয়ের কলেজের বেতন জমা দেন বাবা। বেতন জমা দেওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসেন খুশি মনে। এর কিছু দিনের মধ্যেই মেয়ে এবং তার প্রেমিকের সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। মেয়েটিকে ছেড়ে চলে যায় তার প্রেমিক। প্রেমিকার ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি মেয়ে। মনের দুঃখে আত্মহত্যা করে।

বাবার আত্মত্যাগের বিষয়ে না ভেবেই আত্মহত্যা করে মেয়ে। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় মেয়েকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য বাবার বোনা স্বপ্ন। মেয়ের আত্মহত্যা করার পর তার বাবা ভেঙে পড়েন। অভিমানও হয় মেয়ের ওপর। যদি তিনি জানতেন যে, মেয়ে আত্মহত্যা করবে। জানলে তিনি কিডনি বিক্রি করতেন না বলে কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছিলেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles