5.8 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

অশ্লীলতা ছড়িয়ে বিগো বাংলার পকেটে ১০৮ কোটি টাকা

অশ্লীলতা ছড়িয়ে বিগো বাংলার পকেটে ১০৮ কোটি টাকা
বিগো অ্যাপ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘বিগো অ্যাপে’ অশ্লীলতা ছড়িয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ১০৮ কোটি টাকা আয়ের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। এছাড়া ৭৯ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিআইডির এসআই সোহেল রানা বাদি হয়ে বিগো বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক চীনা নাগরিক ইয়াও জিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে।

- Advertisement -

অন্য আসামিরা হলেন- বিগো বাংলার কর্মী এস এম নাজমুল হক, আরিফ হোসেন এবং মনসন হোল্ডিং নামের প্রতিষ্ঠানটিকে আসামি করা হয়েছে। বিগো লাইভের বিরুদ্ধে এক বছরের বেশি সময় ধরে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়।

এছাড়া বিগো অ্যাপের লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে গত বছরের জুন মাসে চীনা নাগরিক ইয়াও জিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পরে তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। মামলার অপর চার আসামি হলেন বিগো বাংলার কর্মী মোস্তাফা সাইফ রেজা, আরিফ হোসেন, এস এম নাজমুল হক ও আসমা উল হুসনা সেজুতী। চীনা নাগরিকসহ অন্যরা এখন কারাগারে।

সিআইডি জানায়, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দিলেও বিগো লাইভ মূলত লাইভ চ্যাট ও ভিডিও চ্যাটভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। কিছুদিন পরই প্রতিষ্ঠানটি ভার্চুয়াল ডায়মন্ড ও বিনস বিক্রির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে শুরু করে। এরপর শুরু হয় বিগো ও লাইকির অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ।

এক্ষেত্রে এমএফএস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের পর সবশেষে সূর্য পে নামের পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস ব্যবহার করা হয়। সব মিলিয়ে দেড় বছরে তারা হাতিয়ে নেয় ১০৮ কোটি টাকা।

বিগো অ্যাপের ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। বিগো অ্যাপের ব্যবহারকারীদের বড় অংশ তরুণ-তরুণী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক।

চীনভিত্তিক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ বিগো টেকনোলজি লিমিটেড। বিগো বাংলা লিমিটেড নামে বাংলাদেশেও এ অ্যাপটি কার্যক্রম শুরু করে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মূলত লাইভ চ্যাট ও ভিডিও চ্যাটভিত্তিক কার্যক্রম চালায় বিগো।

সিআইডি আরও জানায়, এস এম নাজমুল হক ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ডায়মন্ড বিক্রির বাংলাদেশের প্রতিনিধি। বিগো লাইভের গ্রাহকেরা নাজমুল হকের কাছ থেকে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ডায়মন্ড কিনতেন। পরে নাজমুল সেই টাকা বিগো বাংলার ব্যাংক হিসাবে জমা দেন। পরে বিগো বাংলার এমডি ইয়াও জি সেই টাকা অপর চীনা নাগরিক জেসিকা ও জাহাং লিনের কাছে জমা দেন। বাংলাদেশে এই দুই চীনা নাগরিকের ব্যবসা রয়েছে। তারা বিগো বাংলার মূল প্রতিষ্ঠান বিগো টেকনোলজির সিঙ্গাপুরের ব্যাংক হিসাবে জমা দেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles