13 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

কানাডার প্রতি রাজতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের আহ্বান

কানাডার প্রতি রাজতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের আহ্বান
রাজতন্ত্র থেকে কানাডার স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছেন ডায়াসপোরা কমিউনিটির কিছু কানাডিয়ান

রাজতন্ত্র থেকে কানাডার স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছেন ডায়াসপোরা কমিউনিটির কিছু কানাডিয়ান। রানীর মৃত্যু রাজতন্ত্রের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক কেমন হবে, তা নতুন করে ভাববার সুযোগ করে দিয়েছে।

ব্রিটেনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক থাকা ৫০টির বেশি দেশ কমনওয়েলথের অংশ, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ যেগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কী হবে সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। ঔপনিবেশিক নিপীড়নের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবিও উঠেছে কোথাও কোথাও।

- Advertisement -

ইন্ডিয়া কানাডা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পারমদ ছাবরা বলেন, কানাডার স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে রানীকে তিনি সম্মান করতেন। কিন্তু রাজতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের সময় এসে গেছে। আমরা মনে হয় রাজতন্ত্রকে বিদায় করার এখনই সময়। এ নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা শুরু করা দরকার। সেই সঙ্গে অনির্বাচিত রানীকে আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান না রেখে পূর্ণাঙ্গ মুক্তি নিয়ে ভাবা প্রয়োজন।

প্রায় একই রকম মন্তব্য করেন ন্যাশনাল বাংলাদেশি-কানাডিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মনির হোসেন। তিনি বলেন, বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো কানাডারও পুরোপুরি স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, আমরা সবাই আজকের দিনে স্বাধীনতা চাই। বিশ^ এগিয়ে যাচ্ছে।

ব্র্রিটেনের সাবেক উপনিবেশগুলোতে রাজতন্ত্রের অব্যাহত ভূমিকা নিয়ে এ বছর নানা বিতর্কের মুখে পড়তে হয় রাজপরিবারকে। রানীর সিংহাসনে আরোহনের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজপরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন দেশ সফরকালে এই বিতর্ক জন্ম নেয়। মার্চে প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেচ অব কেমব্রিজ বেলিজ, জ্যামাইকা ও বাহামা সফরে গেলে সমালোচনার মুখে পড়েন তারা।

অনেকেই রাজপরিবারের সদস্যদের স্বঠসু জানালেও আফ্রিকার অসংখ্য মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে বেঁধে রাখা ও সে কারণে তাদের যে ক্ষতি সেজন্য ব্রিটেনকে ক্ষমা চাইতে বলেন বিক্ষোভকারীরা। পরের মাসে গ্রেনাডার সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রানীর কনিষ্ঠ পুত্র এডওয়ার্ড ও তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেনাডা সফর স্থগিত করেন।

এদিকে বারবাডোজ নভেম্বরে রাজতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে এবং জ্যামাইকাও একই পথে হাঁটবে বলে জানিয়েছে। কার্লেটন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জোনাথন ম্যালয় বলেন, রানীর মৃত্যু কানাডায় রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়া আসার আলোচনা উস্কে দেবে। তবে দেশের ব্যবস্থা ভালো কাজ করছে এবং এতে পরিবর্তন আনা কঠিন হবে। রানীর দীর্ঘজীবন কিছু আলোচনা তুলে রাখতে আমাদের সাহায্য করেছিল। তাঁর মৃত্যুকে কেউ কেউ পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

রানী ও ব্রিটিশ ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী রিউবেন ওং। ১৯৭০ এর দশকে কানাডায় অভিবাসী হওয়ার আগ পর্যন্ত হংকংয়ে দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠেন তিনি। ওং বলেন, আজকে তিনি যেখানে আছেন রানী ও ব্রিটিশ ব্যবস্থা ছাড়া তা সম্ভব হতো না।
১৯৯৭ সালে হংকং চীনের কাছে হস্তান্তরের পর সেটি আর কমনওয়েলথের অংশ নয়। কিন্তু কানাডার কিছু ডায়াসপোরা রাজতন্ত্রের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles