6.8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

কনস্টেবল হত্যা-অস্ত্র লুটের সাজা এড়াতে ৩০ বছর পালিয়ে থাকা

কনস্টেবল হত্যা-অস্ত্র লুটের সাজা এড়াতে ৩০ বছর পালিয়ে থাকা

দলবেঁধে থানার অস্ত্র লুট ও পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম ওরফে মানিক (৫৬)। তবে শেষরক্ষা হয়নি, ধরা পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

- Advertisement -

১৯৮৭ সালের ওই ঘটনায় সাইফুল ছিল অস্ত্র লুট ও ডাকাতিতে জড়িত চরমপন্থী দলের অন্যতম সদস্য। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ১৯৮৭ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় অস্ত্র লুট ও ডাকাতি করা হয়। ওই ঘটনার এক সপ্তাহ আগেই এই পরিকল্পনা করেছিল সাইফুলসহ চরমপন্থী দলের সদস্যরা। পরবর্তীকালে ওই ঘটনায় মামলা হলে আদালত পলাতক সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, ঘটনার আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৬০ জন চরমপন্থী নাটোরের ধামাইর মাঠ এলাকায় জড়ো হন। পরে ছদ্মবেশে লুঙ্গি-গামছা পরিহিত অবস্থায় পোটলার মধ্যে অস্ত্র লুকিয়ে গুরুদাসপুর থানা ও টেলিফোন অফিসের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীকালে পরিকল্পনা অনুযায়ী থানার অস্ত্র লুট ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার কাজে লেগে পড়েন তারা।

ওই সময় সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই সুলতান নামে একজনের নেতৃত্বে পাঁচজন চরমপন্থী টেলিফোন অফিসে প্রবেশ করে এবং তারা সেন্ট্রাল কমান্ড বিকল করে দেয়। এদিকে তারেক নামে অপর একজনের নেতৃত্বে সাইফুলসহ পাঁচজন জিডি করার জন্য থানায় প্রবেশ করে। এছাড়া আরও ১০ জন থানা ব্যারাকে প্রবেশ করে সব ফোর্সকে কৌশলে কক্ষের মধ্যে আটকে রাখে। তবে ওই সময় ডিউটিরত কনস্টেবল হাবিবুর রহমান প্রতিরোধ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই সঙ্গে গুলির শব্দে পুরো থানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে দ্রুত অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে সব অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করেন চরমপন্থীরা। সবশেষ থানার লকআপে বন্দি চরমপন্থী দলের আটক সদস্য ইয়াকুবকে তালা ভেঙে মুক্ত করে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে একযোগে থানা কম্পাউন্ড ও টেলিফোন অফিসে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যান।

ওই ঘটনায় মামলা হলে সাজা থেকে বাঁচতে সাইফুল গত ৩০ বছর থেকে বিভিন্ন কৌশলে আত্মগোপনে থাকেন। এমনকি নাম বদলে নতুন এনআইডিও করেছিলেন তিনি।

সূত্র : পূর্ব পশ্চিম

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles