1.9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কানাডার অর্থনীতি পিছিয়ে যাচ্ছে

কানাডার অর্থনীতি পিছিয়ে যাচ্ছে
বেকারত্বের হার স্থিতিশীল থাকলেও টানা দ্বিতীয় মাসের মতো চাকরি কমেছে

বেকারত্বের হার স্থিতিশীল থাকলেও টানা দ্বিতীয় মাসের মতো চাকরি কমেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে যে দ্রুত গতিতে কর্মসংস্থান বাড়তে দেখা গিয়েছিল এটা সেখান থেকে অর্থনীতির পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে কানাডায় বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ১৯৭৬ সালে এ সংক্রান্ত হিসাব রাখার পর থেকে যা সর্বনি¤œ। জুলাইয়ে অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান কমেছে ৩১ হাজার। তার আগের মাস অর্থাৎ জুনে কমেছিল ৪৩ হাজার।

- Advertisement -

ইনডিডের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ব্রেন্ডন বার্নার্ড বলেন, কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার গ্যাস প্যাডালের শক্তিশালী গিয়ার থেকে নিরপেক্ষ গিয়ারের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কম থাকায় জুনে কর্মসংস্থান কমার পরও বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রতিবেদন বলছে, সক্রিয়ভাবে কর্ম খোঁজা মানুষের অনুপাত ২০২২ সালের মার্চের তুলনায় কমেছে। ওই সময় কর্মের খোঁজে থাকা মানুষের অনুপাত ইতিহাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।

কানাডার শ্রমবাজার বেশ আটোসাঁটো অবস্থায় রয়েছে। সারাদেশে কর্ম খালি আছে বর্তমানে ১০ লাখের বেশি। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, চলমান শ্রমিক সংকট সত্ত্বেও চাকরি ছেড়ে দেওয়া বা এক চাকরি থেকে আরেক চাকরিতে চলে যাওয়ার অনুপাত খুব বেশি বাড়েনি। মোদ্দা কথা, ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী কানাডিয়ানদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের মতো একইর রকম আছে।

জুলাইয়ে সরকারে সরকারি খাতের কর্মীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে স্বকর্মে নিয়োজিতদের সংখ্যা বেড়েছে। আর বেসরকারি খাতে কর্মীর সংখ্যা সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। সিআইবিসির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এন্ড্রু গ্রান্থাম বলেন, জুলাইয়ে কর্ম হারানো ছিল সেবা খাতকেন্দ্রিক। এর মধ্যে আছে পাইকারী ও খুচরা বিক্রয়, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য। এসব খাতের কোনো কোনোটিতে উচ্চ হারে শূন্য পদ রয়েছে। চাহিদা নয়, শ্রমিক সরবরাহ এক্ষেত্রে প্রধান ইস্যু।

মহামারিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর অ্যাকোমোডেশন খাতের শক্তিশালী পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু গতিটা এখনও অবয়ব পায়নি। আমার মনে হয়, লোকজনের অন্য খাতে চলে যাওয়াটা এর একটা কারণ হতে পারে।
মজুরি বৃদ্ধির গতিও জুনের তুলনায় স্থিতিশীল অবস্থঅয় রয়েছে। বছরওয়ারি ঘণ্টাপ্রতি মজুরি বেড়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles